একটি বৃষ্টিস্নাত সকাল। আঙ্গুলের চিপায় জ্বলন্ত সিগেরেট! বেঞ্চিতে রাখা ধোয়া উঠা এক কাপ চা।
টেবিলের কোণে পড়ে আছে প্রাক্তনের লেখা কিছু পুরোনো চিরকুট।
অগ্নিঝড়া বিষন্ন মনে, চোঁখ দৃষ্টি বুলাচ্ছে হুমায়ূন স্যারের লেখা “আজ হিমুর বিয়ে” বইটিতে।
ধুলো পড়ে আছে, আমার এক স্কুল শিক্ষক এর দেওয়া সেই উপদেশের ডায়েরি’টাতে!
বুহুদিন হয়ে গেলো সময় হয়ে উঠে না উল্টিয়ে দেখার !
আমার বাসার ওঠনে খেলার জায়গায় আর সেই আগের মত বাচ্ছারা খেলতে আসে না।
মিলন মিয়ার সেই টং দোকানে ও আর জমিয়ে চায়ের আড্ডা হয় না।
টয় টয় করে ঘুরে বেড়ানো আমার বাসার নিচের তলায় থাকা সেই ছোট্র বালিকা মেয়েটিও এখন নিজের বাচ্ছা সামলাতে ধারুণ রকম ব্যাস্ত।
দেখা হলেই যে আমাদের বাসায় আসতো আমার দাদুর ভাইরা। এই মুরুব্বি গুলু আমার সম্পর্কে দাদা হত।উনারা আমাকে দেখলে জ্ঞান দিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়তো সকলকে!
সেই দাদা গুলি ও আজ আমাদের মাঝে নেই।
তাদের দেহ কবরের মাটির সাথে মিশে গিয়েছে।
হিরন চাচাও আর ঘুরে ঘুরে গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা ও ঔষধ দিয়ে বেড়ায় না। বয়সের ভারে নইয়ে পড়েছে। বর্তমানে উনি উনার বাড়ীতে চলে গেছে উনার বর্তমানে সারাদিন সময় কাটে পুরানো পত্তিকা পড়ে।
দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলোর বাড়িতেও এখন গড়ে উঠেছে সুন্দর বাড়ি।
এখন আর সেই আগের মত প্রিয়ার কথা ভেবে ভেবে চোঁখের জল ফেলা হয় না।
বিকেল হলেই এখন আর ক্রিকেট খেলার জন্য ডাঁকতে আসে না, রাসেল, শাহিন, আর শাকিলেরা। মৌন সন্ধায় বাড়ির পিছনের ধানক্ষেত গুলুতে একসাথে বসা হয় না বুহুদিন। এক পিচ সিঙ্গারা নিয়ে আর হয় না টানাটানি।
তারা এখন নিজেদের জীবন গোছাতে ভিষণ ব্যাস্ত।
প্রিয়ার সাথে কিছুসময় কথা বলার জন্য বাসার সবাই ঘুমিয়েছে কি না দেখতে হয়না চুরি করে ফোনে কথা বলার জন্য। এখন আর কথায় ত হয় না এক যুগ হয়ে গেলো।
– তবুও সূর্য তার আপন নিয়মে উদয় হবে আর তার নিয়মেই ডুবে যাবে। যদিও, আমাদের জীবন প্রায়ই আটকে যায় নিস্তব্ধ কত গুলি সময়। আমরা বিষন্ন আমরা সুখি। এভাবেই চলবে! সময় কারোও ধারে না।
সময় আমাদের বাঁচতে শিখায়।সময়ই আমাদের বড় শিক্ষা। সময়কে আমরা যত্ন করি না বলে, সময়ও আমাদের তুচ্ছ করে। আর এটাই জাগতিক নিয়ম।
——–রুবায়েত হোসেন