রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ডুবিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর লাশ ইট ও ভারী পাথর দিয়ে পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেয় স্বামী। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ ছিল কুমিল্লার হোমনায় বসবাসকারী হাসি-রুবেল দম্পতির মধ্যে।
এক সপ্তাহ আগে হাসি রাজধানী কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী তার বাবা-মায়ের কাছে চলে আসেন। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে হাসিকে দেখতে আসেন তার স্বামী রুবেল। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সোমবার রাতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রথমে স্ত্রী হাসি ও পরে চার বছরের ছেলে নীরবকে হত্যা করে রুবেল। এরপর স্ত্রী ও সন্তানের লাশের সঙ্গে ইট ও ভারী পাথর বেঁধে পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা বলেন, তাদের গলায় ও ওড়না পেঁচানো ছিল। বেশ মারধর করেছে। কিছু ইট পাথরও ছিল পাশে। মেয়েটাকে রাত ২টায় আর ছেলেটাকে যথাসম্ভব রাত সাড়ে ৩টার দিকে মেরেছে।
স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার সকালে রুবেল নিজেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফোন করে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আজম বলেন, পারিবারিক কলহ থেকেই স্বামী তার স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করেছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।নিহত দুই জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।