ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর দায়ের করা মামলা তুলে নিতে অব্যাহত চাপ। মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় প্রকাশ্যে পেটানো হয় ওই নারীকে। স্বামীর পক্ষ নিয়ে ওই গৃহবধূর আপন চাচা-চাচী ও তাদের সন্তানেরা মিলে চালায় নির্যাতন।
সম্প্রতি ওই ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় এক তরুণ। মারধরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় শুরু হয় তোলপাড়। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার। ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মগটুলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের ফুফাতো ভাই পাভেলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০১৮ সালে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় পাভেল। যৌতুক দিতে না পারায় শুরু হয় নির্যাতন। জোর করে গর্ভপাতও ঘটায় দুইবার। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত বছরের নভেম্বরে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।। এরপর থেকেই মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকে স্বামীর মামা ও তার আপন চাচা আনোয়ারুল ইসলাম।
সস্প্রতি পাভেল গ্রেফতার হলে স্বামীর পক্ষ নিয়ে মেয়েটির আপন চাচা-চাচী ও তাদের সন্তানেরা তাকে বাড়ি থেকে টেনেহিচড়ে বাইরে নিয়ে প্রকাশ্যে নির্যাতন চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে শুরু হয় তোলপাড়। নির্যানতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নির্যাতিতা ও তার স্বজনদের।
প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় নির্যাতিতার ভাই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামের সৌদী প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে ইয়াসমীন গৌরীপুর সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ জাতীয় আরো খবর..