1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ধর্ষক‌দের দ্রুত গ্রেফতা‌রের দাবী‌তে মহাসড়ক অব‌রোধ ক‌রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষার্থীরা কু‌মিল্লার ১৭ উপ‌জেলায় ১১ জন নারী ইউএনও কর্মরত ১৪ নং ওয়ার্ডে সেচ্ছাসেবক দলের ইফতারের আয়োজন কু‌মিল্লা দেবীদ্বারে অজ্ঞাত নারীর লাশের প‌রিচয় পাওয়া গে‌ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি নুর মিয়া‌কে কুপিয়ে হত্যা ‌দৈ‌নিক কাল‌বেলার কু‌মিল্লা ব্যু‌রো চিফ হ‌লেন মাসুক আলতাফ চৌধুরী ধ্বংসস্তূপে ইফতার করলেন ফি‌লি‌স্তি‌নিরা পাবনার সাঁ‌থিয়ায় সড়কে গাছ ফে‌লে ৪০ গাড়ী‌তে ডাকা‌তি ‌বি:বাড়ীয়ার কসবা সীমা‌ন্তে বিএসএফের গু‌লি‌তে যুবক নিহত অপহৃত ২৯ জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

শিশু অপরাধীর স‌র্ব্বোচ সাজা জেল ১০ বছর – হাই‌কোর্ট

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১
  • ৬১৬ বার পঠিত

শিশুরা অপরাধ যাই করুক না কেন ১০ বছরের বেশি সাজা দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর রায়টি প্রকাশিত হয়।

রায়ে যে বিষয়সমূহে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে:
১। শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ জুবেনাইল বিচার পদ্ধতির ধারণার পরিপন্থি।
২। নিউরোসাইন্স এবং সাইকোলজিক্যাল গবেষণা অনুযায়ী শিশুরা তাদের কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল নয়।
৩। শিশুরা তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বস্তুত, ব্রেনের যে অংশ আবেগ ও যৌক্তিকতা নিয়ন্ত্রণ করে, শিশু অবস্থায় ব্রেনের সে অংশ পরিপক্ক হয় না।
৪। শিশুরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পরিণতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে না। অনেক ক্ষেত্রে তারা অপরাধের দোষ নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে নেয়।
৫। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা পাওয়ার প্রলোভনে শিশুরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়ে যায়। হাইকোর্ট তাদের রায়ে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্টের একটি মামলার রায় পর্যালোচনা সহ আদালত বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালতের নজিরসমূহ আলোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি কর্তৃক লিখিত আটিকেল, বই, সাইন্টিফিক রিসার্চের ফলাফল নিয়েও আলোচনা করে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, সেগুলো হলো:
১। শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কোনো সাক্ষ্যগত মূল্য নেই।
২। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি কোনো শিশুকে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এবং
৩। অপরাধ যাই হোক না কেন, একজন শিশুকে ১০ বছরের বেশি সাজা প্রদান করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে দেশে ফৌজদারি কার্যবিধিতে সুনির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক গঠন বিবেচনায় ১৯৭৪ সালের শিশু আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালিত হত।
২০১৩ সালে নতুন শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে শিশুর বয়স, জবানবন্দি গ্রহণ, দণ্ড ও শিশু শোধনাগারসহ বিশেষ বিশেষ বিধান রাখা হয়। এই বিষয়ে দেশের উচ্চ আদালতের পক্ষে-বিপক্ষে রায় ছিল। সেজন্য ফুল বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির বরাবরে একটি আবেদন প্রেরণ করা হয়েছিল।
ওই আবেদনের ধারাবাহিকতায় বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ফুল বেঞ্চ গঠন করে দেন। যেহেতু আইনের জটিল ব্যাখ্যা জড়িত, সেহেতু হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এমআই ফারুকি এবং শাহদিন মালিককে এমিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com