1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লার বরুড়ায় গণধর্ষ‌ণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন মান‌বিক সাহা‌য্যের আ‌বেদন : চি‌কিৎসার অভা‌বে বিছানায় প‌ড়ে আ‌ছে মামুন

ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আই‌নের প‌রিবর্তন আস‌ছে- আনিসুল হক

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১
  • ৫২৬ বার পঠিত
ছ‌বি: সংগৃ‌হিত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার পর আইনটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। একইসাথে আইনটির কিছু ধারা বিকর্তিত উল্লেখ করে দেশব্যাপী শুরু হয় বিক্ষোভ। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার এখন আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এ আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না-এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জামিন হওয়া না হওয়ার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সাজা যতটা হলে জামিন হবে এবং যতটা হলে জামিন হবে না-ঠিক সেই প্রিন্সিপালটা ফলো করে আমরা বিধান করেছি। সারা পৃথিবীতেই এটা করা হয়। এমনকি এ উপমহাদেশেও। বিষয়টা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি। সব আইনই যখন করা হয়, তখন কিন্তু একটা ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কথা হচ্ছে, এখানে যদি কিছু অ্যাবিউজ এবং মিসইউজ হয়, সেটা কি করে বন্ধ করা হবে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সঙ্গেও আলোচনা করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অফিসের সঙ্গে আমি আলাপ চালাচ্ছি। সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরা এটার তুলনা করছি। মিসইউজ যেগুলো ধরা পড়ছে বা অ্যাবিউজ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর জন্য একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স সিস্টেম কীভাবে ডেভেলপ করা যায়, এ আইনের মধ্যেই কীভাবে সেটা থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।
আওয়ামী লীগ সরকার নানা বিতর্কের মধ্যেই ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে। আইনটি যখন খসড়া করা হয়, তখনই গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীরা আপত্তি তুলেছিলেন আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে। এই আইনে ৯ মাস ধরে আটক থাকা লেখক মুশতাকের মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠেছে যে, ছয় বার আবেদন করেও তার জামিন মেলেনি তার।
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশ বা বাক স্বাধীনতা খর্ব করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেন, ভিন্নমত যাতে না আসে, সেজন্য সরকার আইনটি করেছিল বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, আমাদেরই কিন্তু ভয় লাগে কোন কিছু সম্পর্কে একটা কমেন্ট করতে। একটা সেলফ সেন্সরশিপ কিন্তু এসে গেছে সবার মনে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা বাক স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ মানতে রাজি নন আইনমন্ত্রী এবং সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে তাদের সরকার এবং দলের উচ্চ পর্যায়ে তারা আলোচনা করছেন। তবে ডিজিটাল দুনিয়ায় নানা অপরাধের প্রেক্ষাপটে আইনটির প্রয়োজন আছে বলেই তাদের দল এবং সরকার মনে করছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, আইনের অপব্যবহার হচ্ছে কীনা-সেটা আমরা অবশ্যই পর্যালোচনা করছি। এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হচ্ছে। তারপরও সাথে সাথে এটাও আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে যে, প্রযুক্তিগত এই সুযোগ বা সুবিধাটাকে আমরা অপব্যবহার করছি কিনা-এবং দেশের উন্নয়ন ও শান্তি আমরা বিঘ্নিত করছি কি না-এটাও আমাদের দেখতে হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আইনটি নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তির ওপর দেশে ও বিদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।সুত্র:বি‌বি‌সি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com