1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লার বরুড়ায় গণধর্ষ‌ণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন মান‌বিক সাহা‌য্যের আ‌বেদন : চি‌কিৎসার অভা‌বে বিছানায় প‌ড়ে আ‌ছে মামুন

সরকারের শুল্ক ছা‌ড়েও দাম ক‌মে‌নি চা‌লের- দাম বৃ‌দ্ধি

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১
  • ১০৬২ বার পঠিত

চাল আমদানির ক্ষেত্রে সরকার শুল্ক ছাড় দিলেও কিছু‌তেই দাম কম‌ছে না। সরকারের শুল্ক ছাড়ের পর চালের দাম না ক‌মে বে‌ড়ে গে‌ছে। অ‌তি‌রিক্ত দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে প্রথমে চাল আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। পরবর্তী‌তে আরও কমিয়ে ১০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়।

বাসমতি ও অটোমেটিক চাল বাদে সব ধরনের চাল আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে গত ১৭ জানুয়ারি সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সই করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সরকার যখন চাল আমদানির শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়, সে সময় রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছিল ৬০ থেকে ৬৪ টাকা। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের কেজি ছিল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা। মোটা চাল ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

সরকার চাল আমদানি শুল্ক কমানোর পর এক মাস যাওয়ার পরও  কোনো ইতিবাচক ফলাফল আ‌সে‌নি বাজারে। বরং গত এক সপ্তাহে চালের দাম নতুন করে আরও বৃ‌দ্ধি পায়।  খুচরা নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭০ টাকায়। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের কেজি ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়। গরিবের মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকারও বে‌শি।

গত এক সপ্তাহে চালের দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশ’র (টিসিবি) প্রতিবেদনেও। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মিনিকেট ও নাজির বা সরু চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মাঝারি মানের চালের দাম দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে ও‌ঠে আ‌সে।

চালের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. আফজাল বলেন, গত এক মাসে কোনো ধরনের চালের দাম কমেনি। বরং সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।তিনি বলেন, বাজারে এখন ৫০ টাকার নিচে কোনো চাল নেই। চালের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি কমে গেছে। মোটা চালের ক্রেতা নেই বললেই চলে। বাজারে দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ ওএমএস’র চাল কিনছেন।

চালের দাম নিয়ে একই ধরনের তথ্য দেন খিলগাঁও তালতলার চাল ব্যবসায়ী জানে আলম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে রশিদের ২৫ কেজির বস্তা ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৫৮০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু দাম বাড়ায় এক সপ্তাহ ধরে সেই চাল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৬২৫ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।তিনি বলেন, চাল আমদানি করার ক্ষেত্রে সরকার শুল্ক ছাড় দিলেও আমদানির চাল এখনো বাজারে এসে পৌঁছায়নি। আমদানির চাল এলে হয়তো চালের দাম কিছুটা কমবে। সহসা আমদানি করা চাল না এলে বৈশাখের আগে চালের দাম কমার সম্ভাবনা কম।

চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁওয়ের ন্যাশনাল রাইসমিলের মালিক মোহাম্মদ হাসান রাজু বলেন, সরকার চালের দাম কমানোর ক্ষেত্রে খুবই আন্তরিক। কিন্তু চালের দাম কমাতে হলে শুধু শুল্ক কমালেই হবে না, ভোক্তাদের স্বার্থে কিছু সময়ের জন্য আমদানি শুল্ক শূন্য করতে হবে। সরকার ছাড় দেয়ার পর এখনো চাল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এই শুল্ক দিয়ে চাল আমদানি করে দাম কমানো যাবে না।

তিনি বলেন, চাল আমদানি করতে গিয়ে আমদানিকারকদের অনেকগুলো কাজ করতে হয়। দুই দেশের (বাংলাদেশ ও যে দেশ থেকে আমদানি করা হয়) বিভিন্ন নিয়ম প্রতিপালন করে চাল আমদানি করতে হয়। সরকারের আমদানিকারকদের অসুবিধাগুলো শোনা উচিত।

তিনি আরও বলেন, সব আমদানিকারক যে সৎ উদ্দেশ্যে আমদানি করে এটা বলা যাবে না। সব জায়গায় কিছু ব্যক্তিগত স্বার্থ অতিমাত্রায় থাকে। এমন আমদানিকারক যে বাংলাদেশে নেই, সেটা বলা যাবে না। এদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব সরকারের।এই ব্যবসায়ী বলেন, চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সমন্বয় থাকতে হবে। এ জন্য আমদানি ফ্লো বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। কিন্তু এখন চাহিদা বেশি, অপরদিকে প্রয়োজনের তুলনায় আমদানি কম। সব মিলে এখন ওভারঅল চালের দাম একটু বেশি। আমরা আশা করছি, দুই মাস পর চালের দাম কমে আসবে।

এদিকে বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য বরাদ্দ দেয়া সব চাল আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে আনতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আমদানিকারকদের এই সময় বেঁধে দিয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৩২০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। চাল আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার টনের চেয়ে বেশি চাল আমদানির বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খুলতে পারেনি, ইতোমধ্যে তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, কম দামে চাল আমদানি করতে না পারলে কীভাবে কম দামে বিক্রি হবে। ভারত থেকে চাল আমদানি করতে প্রতি কেজি ৪৪ টাকা পড়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের দেশের চাল নেই। বেশিরভাগই আমদানি করা চাল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com