সিলেটের মতিউর রহমান যার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে করা হয় মানবপাচারের অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা। দীর্ঘদিন ‘পলাতক’ থেকে উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে করেন আগাম জামিনের আবেদন। কিন্তু সে আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। হাইকোর্ট চত্বর থেকে গ্রেফতার হওয়া মতিউর রহমান বর্তমানে রয়েছেন শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মতিউর রহমানের আগাম জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে গ্রেফতারের আদেশ দেন।আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শফিউল্লাহ হায়দার। জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।
আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে গ্রেফতার করে রাজধানীর শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে পরবর্তী যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সিলেট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণের আদেশ দেন। এ আদেশ বাস্তবায়ন সমন্বয় করতে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, আসামি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা হয়। এ মামলায় তার বিরদ্ধে সুনির্দিষ্ট এবং গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ দিন পলাতক থেকে তিনি মঙ্গলবার আগাম জামিন নিতে এসেছেন। আমরা জামিন আবেদন সরাসরি খারিজের প্রার্থনা করি। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে উল্লেখিত আদেশ দেন।
আদালতের এমন আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এসআই কমল নাগরিক খবরকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। আগামীকাল (বুধবার ২৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে সিলেটের আদালতে হাজির করতে উচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..