দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয়ের কোনো রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। এবার অধরা সেই জয়ের আশায় মঙ্গলবার বিকেলে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবেন টাইগাররা।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৬ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় নেই একটিও। হার প্রতিটিতেই। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল শুনিয়ে গেলেন আশার বাণী।
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন বরাবরই আমাদের জন্য কঠিন। তবে অসম্ভব কিছুই না। নিউজিল্যান্ডে আমরা যা কোনোদিন অর্জন করতে পারিনি, চেষ্টা করব এবার যেন সেটা করতে পারি। আমরা আশাবাদী।’
জয় খরা কাটানোর আশা সৌম্য সরকারের কণ্ঠেও- ‘অবশ্যই ভালো কিছু হবে। সবাই যেভাবে মানসিকভাবে ফিট হয়েছে বা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আশা করি ভালো কিছুই হবে।’
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডেতে ঠিকই প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে পেরেছিল স্বাগতিকরা। নিউজিল্যান্ডে যেহেতু টেস্ট নেই, শুধু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। তাই সৌম্য সরকার পাখির চোখ করে আছে ভালো কিছু করার।
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে আমরা ভালো করেছি। নিউজিল্যান্ডেও ওয়ানডে সিরিজ আছে। আশা করি ভালো ফল নিয়ে ফিরতে পারব। (কখনোই জিততে না পারা) সেখানে যে ধারা আছে, সেটা যেন আমরা ভাঙতে পারি, জিতে যেন ফিরতে পারি, সেই আশা থাকবে।’
নিউজিল্যান্ড এমনিতেই শক্তিশালী দল। তবে বাংলাদেশের বড় প্রতিপক্ষ সেখানকার বৈরী আবহাওয়া। প্রচণ্ড বাতাস ও তীব্র শীতে সফরকারী যেকোনো দলই কাঁপতে থাকে। বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি টাইগারদের সামনে আছে কোয়ারেন্টাইনের ঝামেলা।
তামিমদের প্রথম গন্তব্য ক্রাইস্টার্চ। সেখানে পৌঁছানোর পর আবার কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে শুরু হবে কোয়ারেন্টাইন। দলের ঠিকানা হবে ক্রাইস্টচার্চের অদূরে লিংকন ইউনিভার্সিটি হাই-পারফরম্যান্স সেন্টারে। সেখানেই কোয়ারেন্টাইন দুই সপ্তাহের।.
১৪ দিনের প্রথম সাত দিনই মূল পরীক্ষা। এসময় ঘরবন্দী থাকতে হবে সবাইকে। পরস্পরের সাথে মেশার সুযোগ নেই। ঘরের দরজায় খাবার দিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে নিয়ে খেতে হবে। রুম-টয়লেট-কাপড় পরিষ্কার, গোছগাছ, সবকিছুই করতে হবে নিজেকে। অষ্টম দিন থেকে জিম ও সীমিত পরিসরে অনুশীলনের সুযোগ থাকবে। কয়েকজনের গ্রুপে ভাগ হয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারবেন ক্রিকেটাররা।,
সফরে ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচ তিনটি হবে ২০, ২৩ ও ২৬ মার্চ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল।
বাংলাদেশ দল :
তামিম ইকবাল, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মেহেদি হাসান ও নাসুম আহমেদ।