কুমিল্লা জেলার বাসিন্দাদের হয়রানি বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন কুমিল্লার নবাগত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার)।কুমিল্লা জেলায় যোগদানের পর কুমিল্লার মানুষের নিরাপদ চলাচল করার জন্য চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই বন্ধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন তিনি।আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোর দিক নির্দেশনায় দিয়ে তিনি বলেন জন হয়রানি, ছিনতাই,ডাকাতি চাঁদাবাজীসহ কুমিল্লাকে মাদকমুক্ত করতে যেকোন বাধাকে কঠোর ভাবে দমন করা হবে। পুলিশ বাহিনীর কোন সদস্যও যদি অপরাধ করে থাকে তাদেরকেও কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি করেন।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের প্রথম কর্মপ্রচেষ্টা হিসেবে সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতীত কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফিয়ের অতিরিক্ত কেউ কোনও অর্থ দাবি করলে বা অযথা হয়রানি করলে প্রমাণ রেখে অভিযোগ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে নিজের আবেদন নিজেকে করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৫০০ টাকার সরকারি চালান ও নিজস্ব ব্যবস্থায় অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। কোনো দালাল বা মাধ্যম ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেকোনও প্রকার সাহয্যের জন্য এক ওয়েবসাইট http://pcc.police.gov.bd ও এক অভিযোগের জন্য কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সহকারী পুলিশ সুপারদের মোবাইল নাম্বার কুমিল্লা জেলা পুলিশের পেইজে দেওয়া হয়েছে। যেকোনও ধরনের অপরাধ, গুরুত্বপুর্ন সমস্যার কথা পরিচয় গোপন রেখে জানানোর জন্য কুমিল্লা জেলার সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপারের এসব উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জেলার বাসিন্দারা।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, মাদক ও ছিনতাই প্রতিরোধ, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার ও ডাকাতি বন্ধের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে কাজগুলো আমরা শুরু করেছি, তা আরও বেগবান করা হবে। অনেকগুলো পরিকল্পনা রয়েছে যেগুলো পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করা হবে।কুমিল্লায় যোগাদানের প্রথম থেকেই কুমিল্লাকে মাদকমুক্ত করার প্রত্যয় ঘোষনা করেন নবাগত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ধ্যক্তহীন ও সাবলীল ভাষায় বলেছেন
“একটি গ্রাম একটি দেশ মাদকমুক্ত বাংলাদেশ”
“পরিচয় গোপন রেখে তথ্য দিন
নিরাপদ কুমিল্লা গড়ায় অংশ নিন”