ঢাকার কেরানীগঞ্জে আবর্জনার স্তূপের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিন ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ। পুলিশের সুরতহালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ধারণা করা হলেও পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে রিপনকে। পুলিশ বলছে, তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে সব কিছু।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাত পৌনে দশটার দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও মোবাইল রিচার্জ দোকানের ব্যবসায়ী রিপন আহমেদের ফোন থেকে একটি কল আসে তার ছোট ভাই রায়হানের কাছে। ওপাশ থেকে অপরিচিত ব্যক্তি জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের করেরগাঁও রোডে আবর্জনার স্তূপের পাশে পড়ে আছে রিপনের মৃতদেহ।সঙ্গে সঙ্গেই কল করা হয় ৯৯৯-এ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে। সুরহতাল রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা ধারণা করলেও পরিবার-স্বজনদের দাবি, বিকাশ ও মোবাইল ফোন রিচার্জের দোকানের পাশাপাশি অন্য একটি ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা ছিল রিপনের। সেখানে বিনিয়োগ নিয়ে বিরোধের জেরেই হত্যা করা হতে পারে রিপনকে। যদিও এর পেছনে কারা থাকতে পারে সে সম্পর্কে কিছু ধারণা দিতে পারেনি পরিবার।
পুলিশ বলছে, আঘাতের ধরন দেখে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন রিপন।
তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে সব অভিযোগই বলে জানান ঢাকা জেলা কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবীর। বলেন, ভিকটিমের পরিবার থেকে যেকোনো ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দেয়ার অবকাশ নেই। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে রিপনের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করেছে পুলিশ। পিকআপ ভ্যানের চালক ও হেলপার পলাতক। রিপনের খোয়া যাওয়া ফোন মিললে মৃত্যু রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ জাতীয় আরো খবর..