এমন কাজ করতে চাই যেন বিদায়কালে মানুষের ফুলের শুভেচ্ছা ও ভালবাসায় সিক্ত হতে পারি। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নবাগত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। ব্যাকওয়ার্ড-ফরোয়ার্ড শনাক্ত করে মাদক নির্মূলে কাজ চালানো হবে। ছিনতাই-খুন সহ কোনো প্রকার অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না। এজন্য সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা পুলিশের দরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে নবাগত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে কক্সবাজার পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা কক্সবাজার প্রেসক্লাবে যান। এসময় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের সহ শীর্ষ সাংবাদিক নেতারা তাদের স্বাগত জানান। এসময় নবাগত পুলিশ সুপার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।সৌজন্য সাক্ষাতকালে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যরা।
এসপি বলেন, কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বদ্ধপরিকর। পুলিশ জনবান্ধব হয়ে সেবা নিশ্চিত করতে চান। সাধারণ মানুষের সেবা করতে পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই কক্সবাজারের সকল থানা থাকবে সব প্রকার দালাল মুক্ত। ভুক্তভোগী মানুষ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে তাঁর আইনি সহায়তা গ্রহণ করবে। এর ব্যতিক্রম হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কক্সবাজারের যানজটকে অন্যতম সমস্যা উল্লেখ্য করে পুলিশ সুপার বলেন, কক্সবাজারের যানজট নিরসনে পুলিশ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর সুফলও দ্রুত জেলাবাসী দেখতে পাবেন। একই সঙ্গে পরিবহন সেক্টর সহ যে কোনো চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) পংকজ বড়ুয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এডভোকেট আয়াছুর রহমান, মো. মুজিবুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, আবদুল কুদ্দুস রানা, মো. নজিবুল ইসলাম, সরওয়ার আজম মানিক, ফরহাদ ইকবাল, দীপক শর্মা দীপু, মাহবুবুর রহমান, ইমরুল কায়েস, সুজাউদ্দিন রুবেল প্রমুখ।