আসন্ন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেই দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন বিএনপিপ্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) প্রতীক পাওয়ার পর জুমার নামাজ শেষে প্রচারে নামেন বিএনপির প্রার্থী যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর। কিন্তু একই জায়গায় কালো পতাকা মিছিল বের করে গুলশানে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের দিন সংঘর্ষের ঘটনা জড়ায় বহিষ্কৃতরা।বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছে। কিন্তু উল্টো তারা বহিষ্কার হয়েছেন। তারা জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারের দাবিতে এমন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে প্রথমে এস এম জাহাঙ্গীর তার লোকজন এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মিছিলসহ প্রচারে বের হন। উত্তরার রবীন্দ্র সরণি রোডে নির্বাচনী মিছিল নিয়ে হাঁটতে থাকেন জাহাঙ্গীর। এ সময় পেছন থেকে কালো পতাকা নিয়ে অগ্রসর হতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা।
এ সময় তারা কালো পতাকা প্রদর্শন করে জাহাঙ্গীরের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। কালো পতাকা মিছিলটি সংগ্রাম মোড়ে পৌঁছার আগে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপি প্রার্থীর মিছিল কিছুটা এলোমেলো হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য প্রচার শুরু করেন জাহাঙ্গীর।
এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ অংশের নেতা মতিউর রহমান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের বহিষ্কার দাবি করে আমরা প্রার্থীর মিছিলের শেষভাগে কালো পতাকা প্রদর্শন করে এগিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।প্রচারে নেমে এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ঢাকা-১৮ উপনির্বাচন থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু হলো।
এর আগে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সাত নম্বর সেক্টরের ১নং নম্বর রোডের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন জাহাঙ্গীর। এরপর শুরু করেন গণসংযোগ। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন। তারা ধানের শীষে ভোট চেয়ে নানা ধরনের স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মাতিয়ে তোলেন।
এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল, আছে এবং ১২ নভেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে ধানের শীষ বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবে। ঢাকা-১৮ আসন থেকে বেগম খালেদা জিয়ার বিজয় শুরু হবে।’
বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, ‘এ সরকারকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। জনগণ সুযোগ পেলে সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিজয়ী করবে। জনগণ বেগম খালেদা জিয়ার পাশে আছে। আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করব।’
গণসংযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করিম বাদরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান