ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে অবরুদ্ধ গৃহবধূ ফাতেমা জান্নাতকে ৩ দিন পর ২ সন্তান নিয়ে অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তালা কেটে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ১০ বছর আগে ঢাকায় থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের লিটন ওরফে লিটন মুন্সি ভালবেসে বিয়ে করেন লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলা মৃত আমির হুদার মেয়ে ফাতেমা খাতুনকে। বিয়ের পর তাদের দুটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সন্তান জন্মের পরই স্বামী আব্দুল কাদের লিটন সৌদি আরবে চলে যায়।
সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে এসে নানা অপবাদে গৃহবধূ ফাতেমা জান্নাত এর ওপর নির্যাতন শুরু করে। এছাড়াও পরিবারের অন্যদের সহযোগিতায় যৌতুকের টাকা দাবি করে। নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূ ফাতেমা জান্নাত ঝিনাইদহের আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের আওতায় মামলা করেন। মামলা করার কারণে ক্ষিপ্ত হয় স্বামী, তার ভাই, ভাগ্নি ও ভাগ্নি জামাই গত ৩ দিন আগে গৃহবধূ ফাতেমা জান্নাতকে ঘরে অবরুদ্ধ করে ঘরের বাইরের ফটকে ১২টি তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। ফাতেমা জান্নাত অভিযোগ করেন, তার স্বামী আব্দুল কাদের লিটনসহ একই গ্রামের রশিদ, আলমগীর, ছোদরী, বেকার শহীদ হোসেন আলী ও মফিজগন তাকে এভাবে নির্যাতন করে আসছে। গৃহবধূ ফাতেমা জান্নাত আরও অভিযোগ করেন, তার স্বামী আব্দুল কাদের লিটন এর আগেও আরও টি স্ত্রীকে একইভাবে তালাক দিয়েছে। এই ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ‘মেয়েটি আসলে অসহায়। আমি তাদের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। ভুক্তভোগী ফাতেমা জান্নাতকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।’
এদিকে শনিবার বিকেলে সংবাদকর্মীরা নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার পর ফিরে এলে পুলিশ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তালা কেটে তাকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনার কথা আমি শুনে ঘটনা স্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। তালা কেটে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত গৃহবধূ ফাতেমা জান্নাতকে তার ভাসুরের বাড়ীতে থাকার জন্য বলেছি। তাকে সকল প্রকার আইনি সহযোগিতা করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..