ধর্ষক ও তাদের গডফাদারদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, কঠোর আইনের প্রয়োগ ছাড়া ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, ধর্ষণকারীরা সাধারণত সরকারি দলের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় থাকে। রাজনৈতিক দলের অবৈধ প্রশ্রয়ের কারণে দেশে ধর্ষক নামক দানব তৈরি হয়েছে। এই দানবদের দমনে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব।
সারাদেশে নারীর শ্লীলতাহানি, নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক পথের আলো সংগঠন।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের মা-বোনেরা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, তখন আমরা পরাধীন ছিলাম। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্ষণ করে পার পেয়ে যাওয়া, এটা বিচারহীনতার কথা মনে করিয়ে দেয়। রাষ্ট্রের ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র নারী ও শিশুদের ধর্ষণ এবং এর শিকারদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে পারছে না। অন্যদিকে ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার বিষয়টিও জোরালো হচ্ছে না। ফলে হত্যা-ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতায় সমগ্র জাতি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাইফুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব ও জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।এছাড়া অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ যুব শক্তির সভাপতি হানিফ বাংলাদেশী, জাসদ নেতা আবদুল মোতালেব, খাসখবর সম্পাদক মারফ সরকার, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আল আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।