নব্বইয়ের স্বৈরাচার (জাতীয় পার্টি) আর বর্তমানের স্বৈরাচার, দুই মিলে তৈরি হয়েছে বড় স্বৈরাচার। তারা এখন দেশের স্বার্থ দেখে না, জনগণের স্বার্থ দেখে না’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘৯০ এ যারা স্বৈরাচারী সরকার ছিল। জনগণের রক্তের ওপর দিয়ে যাদের পতন হয়েছে- সেই স্বৈরাচাররা আজকের সংসদে গৃহপালিত বিরোধীদল। এ দেশে ভারতীয় দালালের কোনো ঠাঁই হবে না।’শুক্রবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক অধিকার পরিষদের উদ্যোগে শ্রমিক কর্মচারীর সকল বকেয়া বেতন ও এককালীন পরিষদের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।নুরুল হক নূর বলেন, ‘এই যে অগণতান্ত্রিক সরকার এদেরকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। এদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ দেশে ভারতীয় দালালের কোনো ঠাঁই হবে না। যারা এ দেশের জনগণের বিপক্ষ গিয়ে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব।’
নুর বলেন, ‘সরকার উন্নয়ন উন্নয়ন করে। আইয়ুব খান ও উন্নয়নের কথা বলেছে- সে কি টিকতে পারছে? এরশাদ সরকারও উন্নয়নের কথা বলেছে অনেক উন্নয়ন করেছে সে কি টিকতে পেরেছে? পারে নাই। তারা স্বৈরাচারী পন্থায় জনগণের কাছে উন্নয়নের কথা বলেছে কিন্তু নিষ্ঠুরভাবে তাদের পতন হয়েছে। তেমনই এ সরকারও টিকতে পারবে না।’
‘ওসি প্রদীপদের সংখ্যা নগণ্য’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ পুলিশ এ দেশের পক্ষে আছেন, জনগণের পক্ষে আছেন। তারা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের পক্ষে না। আমরা অনেক পুলিশের সঙ্গে কথা বলি, তাদের কাছে আন্তরিক ব্যবহার পাই। আর কিছু পুলিশ আছে যারা ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে দেখে চাকরি পেয়েছে, সেসকল পুলিশ লীগকে চাকরি দেয়া হয়েছে প্রদীপের মতো বিরোধী দলকে পেটানোর জন্য। আমরা সেই সকল পুলিশদের হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে যদি আপনারা কাজ করেন তবে আপনাদের হাতে বন্দুক থাকলেও রক্ষা পাবেন না।’
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি আমাদের সঙ্গেতো আপনাদের শত্রুতা নেই। আপনারাতো আমাদেরই কারও না কারও ভাই, বন্ধু বা আত্মীয়। আপনারা থাকবেন দেশের অতন্দ্র প্রহরী। আপনারা জনগণের নিরাপত্তা দেবেন। আপনারা কেন শকুনের মতো মানুষের ওপর হামলা করবেন।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘শ্রমিক অধিকার পরিষদকে ধন্যবাদ জানাই তারা পাটকল শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছে। তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনের মতো টাকা পকেটে ঢোকানোর জন্য আন্দোলনে নামেনি। তারা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য কার্যকর আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা পাটকল শ্রমিকদের হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনারা আপনাদের আন্দোলন চালিয়ে যান। আমার বিশ্বাস আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি দলমত নির্বিশেষে আপনাদের পাশে দাঁড়াবে।’
সুত্র: জাগো নিউজ