কুমিল্লার বরুড়ায় চাঞ্চল্যকর আব্দুস সাত্তার হত্যা মামলার ৫ আসামীকে দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ও র্যাব-০২, সিপিসি-৩, আগারগাঁও এর যৌথ অভিযানিক দল।
গত ১ সেপ্টেম্বর বরুড়ার জালগাঁও গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৫৫) খুন হয়। বাদীর দায়েরকৃত এজহারের মাধ্যমে জানা যায়, ভিকটিম আব্দুস সাত্তার (৫৫) এর সাথে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জেরে ভিকটিম তার জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে আসামীরা লাঠিশোঠা দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এর ফলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় অন্যান্য আসামীরা তাদের সাথে থাকা লাঠি দিয়ে ভিকটিমকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করে।
ভিকটিম বাঁচার আশায় সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিকটবর্তী একটি কচু ক্ষেতের জলার মধ্যে উপস্থিত হলে গ্রেফতারকৃত আসামী ইমন, রাজ্জাক ও আজাদ তাদের সাথে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ভিকটিমের বাম পা ভেঙে দেয় এবং চাকু দিয়ে আঘাত করে ভিকটিমের দুই পায়ের হাটুর নিচে ছিদ্র করে ফেলে। ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে আসামীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রীসহ অন্যান্য লোকজন ভিকটিমকে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে সিএনজি যোগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী রোশন আরা বেগম (৪০) বাদী হয়ে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-১১, কুমিল্লা ও র্যাব-০২, সিপিসি-৩, আগারগাঁও, ঢাকা মাঠ পর্যায়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লার দাউদকান্দির টোল প্লাজা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার ৪নং আসামী ইমন প্রকাশ রিমন (২০), ৬নং আসামী আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), ৭নং আসামী সেকান্দার আলী (৬০), ৮নং আসামী জয়নাল (৪৬) ও ৯নং আসামী আজাদ (৪০)কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কুমিল্লার বরুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লীডার একেএম মুনিরুল আলম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।