পাবনার সাঁথিয়ায় রাতভর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
থানা পুলিশের দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার(১৫আগস্ট)রাত ১০টার দিকে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন ‘সাঁথিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার’ ভেতরে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের চেষ্টায় গোপন বৈঠক চলছে। এ সংবাদ পেয়ে থানার এসআই ইয়ামিন আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান ৫০/৬০জন জামায়াতের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠক থেকে উঠে অনেকেই দৌড়ে মাদরাসার প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় উপজেলার হলুদঘর গ্রামের আলীমুদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন(৩৯),আয়নুল হকের ছেলে মেহেদি হাসান(২৮),মাছখালি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল করিম(৫০),নন্দনপুর গ্রামের মৃত মাইদুল হকের ছেলে আলী মর্তুজা (৪৩),করমজা মল্লিকপাড়া গ্রামের শাকের আলীর ছেলে হারুন অর রশিদ(৫১), মরিচপুরান গ্রামের সাদেক প্রামানিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম(৩২),করমজা সরদারপাড়া গ্রামের মুত্তালিব মোল্লার ছেলে ড.মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ(৪৭),শহীদনগর বাবুপাড়া গ্রামের সামাদ শেখের ছেলে রোস্তম শেখ(৩২),বেড়া উপজেলার শানিলা সাহাপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ(৪০)কে গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৭টি ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ঘ তৎসহ ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৪ ধারার অপরাধ আইনে থানায় মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও স্বজনেরা জানান,আমাদের নিজ বাড়ি হতে রাতে থানা পুলিশ ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে এসে তাদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ককটেল উদ্ধার তাদের সাজানো নাটক।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমান জানান,গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের রাতে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। গোপন বৈঠকের কোন ঘটনা ঘটেনি ।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)রফিকুল জানান,গ্রেপ্তারকৃতরা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ক্ষতিকর ও অন্তর্ঘাতমূলক কার্যসম্পাদনের জন্য গোপন বৈঠক করছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বুধবার(১৬আগষ্ট) পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।