কুমিল্লায় প্রেম করার অপরাধে ফয়সাল আহমেদ নামে এক কিশোরকে পায়ুপথে ছুরি ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের নবগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এদিকে ওই কিশোরের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানায়, নবগ্রাম এলাকার চারু মিয়ার ছেলে ফয়সাল একই এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি কিশোরীর পরিবার জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা ফয়সালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের পর পায়ুপথে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। এ সময় চিৎকার শুনে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিহত কিশোরের মা রোকেয়া বেগম বলেন, প্রেম করার অপরাধে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার উদ্দেশ্যে পায়ুপথে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা তাকে ব্যাপক নির্যাতন করে। ‘আমরা আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিতে বলেন। ঢাকায় দুই দিন থাকার পর আমার ছেলে মারা যায়। মৃত্যুর আগে আমার ছেলে ঘাতকদের নাম বলে গেছে। আমি আমার ছেলের খুনিদের বিচার চাই।
নিহতের খালা জাহানারা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার মেয়ের পরিবারের সঙ্গে বসে আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি। এর পর শুক্রবার রাতে এ ঘটনা কেন করা হলো? এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার পর থেকে মেয়ে আর তার পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই । তারা বাড়িতে তালা মেরে পালিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। ছেলেটি মারা যাওয়ার আগে বলে গেছে কে কে হত্যার সঙ্গে জড়িত। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনো ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হয়নি। ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে