বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাচ্চুসহ চার্জশিটভুক্ত সকল আসামির বিষয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন শাখাকে অবহিত করা হয়। এছাড়াও দেশের সকল স্থল, নৌ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। যদিও চার্জশিট দাখিলের আগেই বাচ্চু উল্লেখযোগ্য সম্পদ বিক্রি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।
গত ১২ জুন বেসিক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ৫৯টি মামলায় আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপরই ৫৯ মামলার ৫ তদন্ত কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে এসব চিঠি দিয়েছেন বলে দুদকের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা ৫৯ মামলার সূত্র উল্লেখ করে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া দুদকের চিঠিতে বলা হয়, ‘বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুসহ একাধিক আসামির বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতিসহ বেসিক ব্যাংকের প্রায় ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ এবং আত্মসাতে সহায়তার বিষয়টি মামলাগুলোর রেকর্ডপত্রে প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
দুদক গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে, মামলাগুলোর তদন্তে অভিযুক্ত আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায়, এ আসামি যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে আব্দুল হাই বাচ্চুর পাসপোর্ট ও এনআইডি নম্বরসহ বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া হয়।
দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছেন বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। ইমিগ্রেশনের সব শেষ তথ্য নিয়ে দুদকের গোয়েন্দারা বলছেন, আব্দুল হাই বাচ্চু সর্বশেষ দুবাই যান গত ৫ এপ্রিল (২০২৩)। সেখান থেকে তিনি কানাডায় যান। কানাডা থেকে দেশে ফিরে আসেন গত ৮ জুন। এরপর থেকে তিনি দেশে আছেন, নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সেই তথ্য কারও কাছে নেই।