বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে উভয় দেশের কর্মকর্তারা দুই দেশের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে আজ এখানে দুই দিনের বৈঠক শুরু করেছেন। ৩৮তম জেআরসি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটি ১২ বছর বিরতির পর আগামী ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সর্বশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটি ২০১০ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে সামনে রেখে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এসব বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে উভয় পক্ষ গঙ্গার পানি ব্যবহার এবং কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের একটি চুক্তির বিষয়ে যৌথ সমীক্ষা চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারা আরও বলেন যে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে প্রবাহিত নদীগুলিতে পানির প্রবাহের তথ্য শেয়ার করার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে। ভারতের জলশক্তি (পানিসম্পদ) মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সাখাওয়াত এবং বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ৩৮তম জেআরসি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
সূত্রগুলো অবশ্য বলেছে যে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছয়টি অভিন্ন নদী- মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমারের একটি কাঠামো চুক্তি চূড়ান্ত করার পাশাপাশি বৈঠকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিস্তা ইস্যুটি উত্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলোও বৈঠকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৫ বছরব্যাপী গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৬ সালে। ভারত ও বাংলাদেশ এ পর্যন্ত শুধুমাত্র গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যদিও তাদের মধ্যে ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে।