কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর চরে চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি চরের মাটিতে পাথর ও বালু বেশি থাকায় এ অঞ্চলে বাদামের ফলন ভালো হয়। খরচের তুলনাই মুনাফা বেশি এবং উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় অনেক চাষিরা চিনা বাদাম চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন চরে ৮৯০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়। যা গত বছরের তুলনাই ১০ হেক্টর বেশি। চরের মাটিতে পাথর ও বালু বেশি থাকায় এ অঞ্চলে বাদামের ফলন ভালো হয়।
কৃষকরা বলেন, বিঘা প্রতি বাদাম চাষ করতে আমাদের খরচ হয় ৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ফলন হয় ৫ থেকে ৬ মণ। বাজারে প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হয় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা পাওয়ায় বাদাম চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা।
ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার বাদামচাষি রানা হোসেনের বলেন, এবার ২০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ১২০ মণের মতো বাদাম পাবো। এ বছর বাদামের ফলন ভালো না হলেও ভালো দাম পাওয়ার কথা জানান তিনি।
আরেক বাদামচাষি ওহিদুল ইসলাম জানান, নদীতে বন্যার পানি আসার আগেই চরের সব বাদাম চাষির ঘরে চলে আসবে। আর স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা পাওয়ায় বাদাম চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন নাগরিক খবরকে বলেন, উপজেলার ৪টি চর এলাকায় এ বছর প্রায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। উন্নতমানের বীজ, সারসহ সরকারি সব ধরনের সহায়তা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।