কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে দু’জনসহ জামানত হারাচ্ছেন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রায় ৫০ জন প্রার্থী। ফলাফল বিশ্নেষণে দেখা গেছে, সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন ৫০ কাউন্সিলর প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া মেয়র পদে জামানত ফেরত পাবেন না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল।
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুসারে, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, কোনো কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট দুই অঙ্কেও যায়নি।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে জামানত হারাচ্ছেন- নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে ইকবাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল মন্নাফ ও নাহিদা আক্তার, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, মনিরুল আলম, স্বপন আলী ও আবদুল্লাহ আল মোমেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রোকসানা আক্তার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রিয়াজ উদ্দিন খান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিকাশ চন্দ্র দাস, রাজন পাল ও সৈয়দ মহসিন আলী, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আশিকুর রহমান ও মিজানুর রহমান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী সামছুল আলম ও পারভেজ হানিফ, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ওমর ফারুক, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আহাদ হোসেন বিশ্বাস, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম, মো. হাবিব ও সৈয়দ রুমন আহমেদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নাছিম হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোজাম্মেল হোসেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মাহে আলম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জামাল হোসেন কাজল, মো. মিন্টু ও আক্তার হোসেন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাহাবুব আলম, আবু হাসান, নুরুল ইসলাম ও শাহজালাল, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবু হানিফ ও নাসির উদ্দিন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম ও অহিদুর রহমান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জালাল উদ্দিন আহমেদ, মকবুল আহমেদ ও হোসাইন মোশাররফ।
এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৩৬ প্রার্থীর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে মমতাজ বেগম, রোকসানা ইসলাম ও ছফুরা সুলতানা এনি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ফাতেমা আক্তার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোছা. ফাতেমা আক্তার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শিউলি আক্তার, ৭ নম্বরে ফারজানা আক্তার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আমেনা বেগম ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিনা আক্তার জামানত হারাতে যাচ্ছেন।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, মেয়র ও কাউন্সিলর পদে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের গেজেট প্রকাশের জন্য বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্নিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। গেজেট প্রকাশের পর তাঁদের শপথ হবে। ওই সময়ই জামানতের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।
গত বুধবার কুমিল্লা সিটির ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোট হয়। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।