১১ মাস ৫ দিনপর কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা কারামুক্ত হলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি কক্সবাজার কারাগার থেকে বের হন। এ সময় স্ত্রীপুত্র, সহকর্মী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
টেকনাফের বহিস্কৃত ওসি পদীপের নির্দেশে টেকনাফ থানায় দায়ের করা শেষ চাঁদাবাজির মামলায় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জামিন দেন আদালত। কক্সবাজারের যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আাদালত নির্যাতিত ফরিদুল মোস্তফাকে জামিন প্রদান করেন।
সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা টেকনাফের বহিষ্কার ওসি প্রদীপের বিরুদ্বে মাদক নির্মূলের আড়ালে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বিভিন্ন সময় সংবাদ পরিবেশ করেছিলেন। যার কারনে ওসি প্রদীপ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে ঢাকা থেকে ধরে এনে মাদক,অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ৬ টি মিথ্যা মামলায় জড়িত করে ও শারীরিক নির্যাতন করে ।
ইতিমধ্যে ৬টি মামলা থেকে সে জামিন লাভ করে। আজ চাঁদাবাজির শেষ মামলায় ফরিদ জামিন লাভ করে। ফলে আজ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা বিকালে জেল থেকে মুক্তি পান।
স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, গত ৬ জুলাই ২০১৯ সালে বহিস্কৃত ওসি প্রদীপের নির্দেশে টেকনাফের হ্নীলার দরগাপাড়ার মৃত তাজর মল্লুককে বাদী করে টেকনাফ থানায় জিআর ৫৭৭/১৯ চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কক্সবাজারের সভাপতি মিজানুর রশীদ মিজান জানিয়েছেন আজ আসামী পক্ষে মামলার জামিন শুনানী করেন এড.মোঃআব্দুল মান্নান, এড.আবুল কালাম ছিদ্দিকী, এড.রেজাউল করিম রেজা, এড.সাইফুদ্দিন খালেদ ও রবিন্দ্র দাস রবি প্রমূখ।
এদিকে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ওপর বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের নির্যাতনের ঘটনা সরকারকে পূণ:তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবি করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফরসহ নেতৃবৃন্দ।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, ফরিদ মোস্তফা শারীরিক ভাবে অসুস্থ রয়েছেন। সুস্থ্য হলে তিনি গণমাধ্যমের কাছে তার ওপর নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরবেন।