বাংলাদেশ – ভারত দু’দেশের সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ন তুলে ধরে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘আরশি কথা’ সম্মাননা লাভ করেন মহিউদ্দিন মিশু। শনিবার সন্ধ্যায় পূর্বাত্তর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক জাঁকজমক পূর্ণ ও অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশুর হাতে আগরতলা পৌরসভার মেয়র দীপক মজুমদারসহ অতিথিবৃন্দ এ সম্মাননা পদক তুলে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার হাজারো মানুষের প্রিয় ব্যাক্তি, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারণা ও সত্যতা তুলে ধরার সাহসি সৈনিক সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু।
ত্রিপুরা রাজ্যের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল আরশি কথা’র ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠানে মহিউদ্দিন মিশুকে এ সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। এ সম্মাননা শুধু ব্যক্তি মহিউদ্দিন মিশুকে পরিচিত করেনি। পরিচিত করেছে সারা বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকে।
তিনি দৈনিক যুগান্তর, যমুনা টেলিভিশন ও ডেইলি অবজারভারের আখাউড়া প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি।
সমাজের নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কলমের মাধ্যমে অধিকার আদায়ে ছিলেন একনিষ্ট।
দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় অক্লান্ত পরিশ্রম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখে নিজের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন তিনি।
মহিউদ্দিন মিশু বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চল সীমান্তের মাদকের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ দুই দশকের অধিক সময় ধরে সাংবাদিকতার জগতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন।
যুগান্তর পত্রিকায় একাধিক আলোচিত অনুসন্ধানী প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্বীকৃতি সরুপ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন মহিউদ্দিন মিশু।
সাহসী, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সাংবাদিকতায় দেশ সেরা সাংবাদিকের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে ‘মৃত্তিকা পদক’ পেয়েছেন মহিউদ্দিন মিশু। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় মাদক চোরাকারবারিসহ দূর্নীতিবাজ অপরাধিরা একাধিবার হত্যা চেষ্টা থেকে প্রাণে রক্ষা পান তিনি।
অসৎ ব্যক্তিদের রক্তচক্ষু আর অপরাধীদের দায়ের করা মামলা কিংবা হামলায় সর্বশান্ত করার ব্যর্থ অপচেষ্টায় তারা লিপ্ত থাকলেও মিশুর পেশাগত কাজকে সততার সঙ্গে আরও এগিয়ে দিয়েছে। আর তাই মফস্বল সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মিশু। তার এ অসামান্য অবদানে আপ্লুত দেশের পূর্বাঞ্চলের সাংবাদিক সমাজ।
ভারত-বাংলাদেশ সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন তুলে ধরে বিশেষ অবদান রাখায় এরআগেও পূর্বোত্তর ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য থেকে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মহিউদ্দিন মিশু সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মহিউদ্দিন মিশুকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করে পদক তুলে দেন।
আরশির দেওয়া সম্মাননা গ্রহন করে মহিউদ্দিন মিশু বলেন, যে কোনো স্বীকৃতি কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা তৈরি করে। আমি অনুপ্রাণিত, আনন্দিত। আমাকে সম্মাননা প্রদানের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা আরশি কথা’র সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এমন প্রাপ্তি আমার সমস্ত শিক্ষাগুরুদেরকে এ সম্মাননা উৎসর্গ করলাম। আরশি কথার গ্লোবাল ফোরামের উপদেষ্টা ড. অশীষ কুমার বৈদ্য সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবল কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার, আরশি কথার প্রধান সম্পাদক শান্তনু ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।