বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় দীর্ঘ ৫৬ ঘণ্টা পর নিখোঁজ শিশু সৈকতের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সন্দ্বীপের উড়িরচর ইউনিয়নের সাগর উপকূল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এনিয়ে নিখোঁজ তিন শিশুর মধ্যে শুক্রবার দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। নাগরিক খবরকে এ তথ্য জানিয়েছেন সন্দ্বীপ ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা কিরিটি রঞ্জন বড়ুয়া।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যমজ বোনের একজন আদিফার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তবে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আলিফার এখনো কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনাস্থল গুপ্তছড়া ঘাটের আরো ২৫ কিলোমিটার দূরের উপকূল থেকে সৈকতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে আরেকটু দূরে উদ্ধার করা হয় শিশু আদিফার মরদেহ।
তিনি বলেন, সকালে উদ্ধার হওয়া আদিফাকে প্রথমে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। দুই শিশু যমজ এবং চেহারা একই হওয়ায় মরদেহটি আদিফা নাকি আলিফার সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে ওই শিশুর মা পান্না বেগম থানায় এসে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।
এর আগে বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে প্রায় ২২ যাত্রী নিয়ে কুমিরা নৌঘাট থেকে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়ার উদ্দেশ্যে স্পিডবোটটি রওনা দেয়। গুপ্তছড়া ঘাটের কাছাকাছি গেলে কালবৈশাখীর কবলে পড়ে এটি। এসময় তীব্র বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পিডবোটটি ডুবে যায়।
এরপর আনিকা (১৫) নামের এক মেয়েকে উদ্ধার করে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। জানি