অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় এবার মুখ খুলেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্য। ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে তার নাম আব্দুল্লাহ। র্যাবের নেওয়া পঞ্চম দিনের রিমান্ডে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
বুধবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহর খাস কামরায় এই জবানবন্দি দেন তিনি। তবে জবানবন্দিতে তিনি কী কী বলেছেন তা গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।
এপিবিএনের এই সদস্যকে বিকাল সাড়ে ৪টায় র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দল আদালতে নিয়ে আসে। এর পরপরই তাকে নেওয়া হয় বিচারকের খাস কামরায়। ওখানে টানা সাড়ে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা কারাগারে।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিবিএন সদস্য আব্দুল্লাহ এই জবানবন্দি দিয়েছেন।এর আগে গত ১৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্যকে তাদের হেফাজতে নেন। এরপর ১৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় এদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা ওইদিন আদালতে তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহর আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২২ আগস্ট এদের নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব হেফাজতে।
রিমান্ডে নেওয়া অপর দুজন হলেন এপিবিএনের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব। ঘটনার দিন ৩১ জুলাই এ তিন জনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এ ঘটনায় নিহতের বোনের দায়ের করা মামলায় আসামি হিসেবে অভিযুক্ত পুলিশের ৯ সদস্যের মধ্যে ৭ সদস্যকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর এ ঘটনায় পুলিশ যে পৃথক মামলা করেছিল সে মামলার তিন সাক্ষীকে র্যাব নিজেদের হেফাজতে নেয় ও পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়। এরপর হত্যার ঘটনাস্থল এপিবিএন চেকপোস্টে হওয়ায় দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন, গণশুনানির মাধ্যমে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ শেষে এপিবিএনের তিন সদস্যকেও গ্রেফতার করে র্যাব। গত ২৩ আগস্ট এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব কর্মকর্তা।
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন