সারাদেশে ১৪ লাখ নারীসহ মোট দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। গত ৩০ বছরে দেশে মাছের প্রায় ২৫ গুণ উৎপাদন বেড়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরের মৎস্য আহরণ ও জেলেদের জীবন মানের তেমন উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় মৎস্য সম্পদ আহরণে বিশ্বের অন্যতম দেশ জাপানের প্রযুক্তি বাংলাদেশে সম্প্রসারণ করতে চায় জাইকা।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস মৎস্য চাষ। সেজন্য কক্সবাজার থেকে মৎস চাষ সম্প্রসারণ ও জেলেদের উন্নয়নে কাজ করতে চায় জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)।
সম্প্রতি জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে এ প্রকল্পের তথ্যউপাত্ত তুলে ধরেছেন। তিনি মন্ত্রীকে জানান, উপকূলীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য জাইকা মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রকল্প শুরু করতে চায়।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য- উপকূলীয় জেলেদের জন্য উপযুক্ত জলজ প্রাণি চাষ এবং সি-ফুড প্রক্রিয়াকরণ কৌশল পরীক্ষা করা, মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন, টেকসই মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, বিকল্প আয় উৎপাদন কার্যক্রম প্রচার এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের পুষ্টির অবস্থা উন্নত করা।
জাইকা বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) বাস্তবায়নে অবদান রাখবে। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বাংলাদেশকে দিয়েছে জাইকা। সেসব প্রস্তাব বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকার।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার (মৎস অনুবিভাগ) বলেন, মৎস্য সম্পদ আহরণ ও জেলেদের জীবনমান উন্নয়নের কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে জাইকা। প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার জেলায় এই কাজ শুরু করতে চায় সংস্থাটি। জাইকার প্রস্তাবনা পর্যবেক্ষণের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জানানো হবে।