1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রানা,মাসুম ও রিপনের নেতৃত্বে এক বিশাল র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সিপিজের খোলা চিঠি ড. ইউনুসকে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম গ্রেফতার শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ

মেট্রোরেলে আরও তিন হাজার কোটি জাইকার ঋণ চায় সরকার

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৩৭১ বার পঠিত

প্রথমে অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি**সংশোধন প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি**জাইকার ঋণ ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি, সরকারের ব্যয় ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি।

যানজট থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্তি দিতে দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এই প্রকল্পের উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ বলতে গেলে শেষ। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এই অংশে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করা হবে। কাজ চলছে প্রকল্পের বাকি অংশেও।

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অনুমোদিত ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। তবে মতিঝিল ছাড়িয়ে মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত নেওয়ায় প্রকল্পের কাজ বেড়ে গেছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার ধরে মেট্রোরেলের রুট দাঁড়াচ্ছে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। কাজ বাড়ার কারণে বেড়েছে ব্যয়ও। সেজন্য বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সেখানে ডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রকল্পে নতুন ব্যয় ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা বাড়ছে।

আগের প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুসারে, ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকাই ছিল জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণের। বাকি টাকা সরকারি তহবিলের। নতুন করে যে ব্যয় বাড়ছে, সেখানে যোগানের জন্য জাইকা থেকে ঋণ চাওয়া হবে আরও তিন হাজার ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে আট হাজার ৪০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। নতুন অর্থ জাইকা দিলে তাদের ঋণ দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর এ প্রকল্পে সরকারি তহবিলের ব্যয় দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির প্রাথমিক মেয়াদকাল ছিল ১ জুলাই ২০১২ থেকে ৩০ জুন ২০২৪। তবে কাজ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্প শেষ করতে সময় লাগবে আরও এক বছর ছয় মাস। সেক্ষেত্রে এটির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

উত্তরা থেকে আগারঁগাও রুটে সম্প্রতি পরীক্ষামূলক যাত্রা করে মেট্রোরেল/ফাইল ছবি

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র বলছে, জাইকার অনুমতি নিয়েই মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত কাজের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন ডিপিপি সংশোধন করলে জাইকা বরাবর বাড়তি ঋণের প্রস্তাব করবে ইআরডি। সংস্থাটি বাড়তি ঋণ দিতে রাজি হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

ইআরডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের ডিপিপি সংশোধন করা হচ্ছে। তবে এখনো পরিকল্পনা কমিশন সংশোধন চূড়ান্ত করেনি। তারা চূড়ান্তভাবে সংশোধন করলে জাইকা বরাবর বাড়তি ঋণের প্রস্তাব করা হবে। জাইকা খুবই উদার। আমার মনে হয় তাদের কাছে প্রস্তাব পাঠালে সেটা গ্রহণ করবে। তবে তার আগে প্রকল্পটি সঠিকভাবে সংশোধন হয়ে আমাদের হাতে আসতে হবে।

জাইকার কাছ থেকে বাড়তি ঋণ প্রস্তাব প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের (সচিব) সদস্য মো. মামুন-আল-রশীদ বলেন, ‘সামনে প্রকল্পের পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ইআরডি প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকবেন। আমরা প্রকল্পের ডিপিপি নিয়ে মিটিং করবো। ব্যয় ও সময় বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক কি না যাচাই করবো। যদি যৌক্তিক হয় তবে ব্যয় ও সময় বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করবো। এরপর প্রকল্পে বাড়তি ঋণ চেয়ে ইআরডির মাধ্যমে জাইকা বরাবর প্রস্তাব যাবে।’

প্রকল্প প্রস্তাবনা সংশোধনের কারণসময় ও ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা সংশোধন প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশে ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ এবং ই অ্যান্ড এম সিস্টেম সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি ট্রানজিট অরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্টের (টিওডি) জন্য ভূমি বরাদ্দ ও নকশা তৈরি, ট্রেন পরিচালনার বিদ্যুৎ খরচ এবং এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার জন্য লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি তৈরি, ফুটপাত নির্মাণ, পরামর্শক ব্যয় এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলবে। এসবের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয় বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com