প্রাকৃতিক উপায়ে একমাত্র মানুষ সুস্থ থাকতে পারে৷ তুলসি পাতা বা নিম পাতা কম-বেশি সব বাড়িতেই থাকে। দুটিই ত্বকের যত্নে খুব ভালো। কালো দাগ, রুক্ষতা, ছোপ সবটা দূর করতে সাহায্য করে নিম এবং তুলসি৷ তবে এর সঠিক ব্যবহারের প্রক্রিয়া না জানলে স্কিনে লাগিয়েও কোনও উপকার পাওয়া যাবে না। অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল হিসেবে কাজ করে তুলসি এবং জীবাণু নাশ করতে উপকারি নিম। দুটি ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং দাগ-ছোপ কমাতে সাহায্য করে ৷ যতই নিম এবং তুলসি দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক বা ফেস ওয়াশ তৈরি হোক না কেন, সেই সমস্ত প্রোডাক্টে বেশ খানিকটা কেমিক্যাল থাকে ৷
কয়েকটি তুলসিপাতা এবং নিমপাতা আলাদা করে ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন৷ রোদে শুকোতে দিন৷ খেয়াল রাখবেন কখন পাতাগুলির রঙ হালকা বাদামি রঙের হয়ে আসছে৷ বাদামি রঙটা এলেই পাতাগুলি তুলে নিয়ে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন ৷
অন্য একটি পাত্রে দুই চামচ করে তুলসি এবং নিমপাতার গুঁড়ো নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিন৷ তিনটি গুঁড়ো যেন ভালোভাবে মিশে যায়৷
এরপর সেই পাত্রে একটু একটু করে গোলাপজল মেশাতে থাকুন৷ অল্প পরিমাণ করে মেশাতে থাকবেন। প্রথমেই বেশি দিয়ে দেবেন৷ মাথায় রাখবেন পেস্টটা যেন ঘন হয়৷ আঙুল দিয়ে বা সরু কোনও চামচ দিয়ে পেস্টটি মিশিয়ে নিন ভালো করে৷
আপনার প্যাকটি ঘন হয়ে গেলে একটা পাতলা কাপড় দিয়ে পাত্রটা ঢেকে রাখুন৷ আপনার ত্বকে যে ধরণের ক্লেনজার স্যুট করে, সেটা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন৷
মুখে, ঘাড়ে, গলায় এবং গলার ঠিক নীচ অবধি প্যাকটি ভালো করে লাগিয়ে নিন৷ ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করুন৷
প্যাকটি শুকনো অবধি অপেক্ষা করে হাতে পানি লাগিয়ে মুখে, গলায়, ঘাড়ে মাসাজ করতে থাকুন। কিছুক্ষণ করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ তারপর লাইট কোনও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন৷ সপ্তাহে এক-দুবার ব্যবহার করলেই আপনি ফল পাবেন।