পছন্দের জামার সঙ্গে মানানসই জুতো না হলে মুখ ভার হয় অনেকেরই। তবে যত দামি হোক না কেন, নতুন জুতো পায়ে পরে ঘণ্টা খানেক হাঁটিহাঁটির পর গোড়ালির পিছন দিকে কিংবা বুড়ো আঙুলের তলায় ফোস্কা পড়ে যাওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। শুরু হয় জুতো যন্ত্রণা। এক বার ফোস্কা পড়লে পরবর্তী দু’-তিন দিন হাঁটা চলা করাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে।
এই সমস্যা আপনার একার নয়। এই সমস্যায় নাজেহাল হন কমবেশি সকলেই। এই অবস্থায় কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
ক্ষত স্থানে নারকেল তেল লাগাতে পারেন। নারকেল তেল এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। নারকেল তেল টিস্যু মেরামতের পাশাপাশি, ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া পেট্রোলিয়াম জেলিও লাগাতে পারেন। দিনে দু’বার ১৫ মিনিট উষ্ণ জলে পা ভিজিয়ে রাখুন। ভাল করে তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। তার পর ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। উষ্ণ জল ব্যথা এবং সংক্রমণকে প্রশমিত করতে বেশ উপকারী।
অ্যালো ভেরা ফোস্কা সারিয়ে তুলতে দুর্দান্ত কার্যকর। অ্যালো ভেরার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ক্ষতস্থানের ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। ফোস্কাতে ভাল করতে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। জেল শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিন বার লাগালেই অনেকটা আরাম পাবেন।
গ্রিন টি-তে, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাল উৎস। গরম জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি টি ব্যাগ ডোবান। তার পর ব্যাগটি ঠান্ডা হতে দিন। টি ব্যাগটি নিয়ে ফোস্কার জায়গায় বেশ কিছু ক্ষণ লাগিয়ে রেখে দিন। বেকিং সোডাতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। দিনে দুই থেকে তিন বার এই প্রক্রিয়াটি করলেই সুফল মিলবে।
ফোস্কা নিরাময়ের জন্য অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারও ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ-ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সংক্রমণের বিস্তার হতে দেয় না।। অ্যাপ্ল সাইডার ভিনেগারে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থানে হালকা হাতে চেপে লাগিয়ে রাখুন বেশ কিছু ক্ষণ। এই প্রক্রিয়াটি করার সময় সামান্য জ্বালা করতে পারে। কিন্তু নিশ্চিত উপকার পাবেন।
ফোস্কার ব্যথা কমাতে নুনও ব্যবহার করতে পারেন। উষ্ণ জলে এক চামচ নুন মিশিয়ে নিন। এ বার সেই জল দিয়ে ফোস্কার জায়গায় সেঁক দিন । এই উপায় ফোস্কার যন্ত্রণা ও ফোলাভাব কমে যাবে। দ্রুত ক্ষত নিরাময় হবে।