মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের সরকারি ঘোষণার আগে কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা রিক্রুটমেন্ট এজেন্টের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সর্তক করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে মালয়েশিয়া গমনে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে আরও বলা হয়, বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রলোভন ও প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না। পাসপোর্টসহ মূল্যবান কাগজপত্র অন্যের হাতে জমা দিয়ে জিম্মি হবেন না।
দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীরা নিরাপদ অভিবাসনের ক্ষেত্রে বড় বাধা। তাই তাদের পরিহার করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে অবৈধ ও আগাম লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি বা তার প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ এর ৩১ ধারা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর প্রকাশিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মী গমনের ক্ষেত্রে তাদের বিমান ভাড়া, লেভিসহ সেখানে প্রদেয় সব খরচ কর্মী গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করবে।
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের বিএমইটির ডেটাবেজে নাম নিবন্ধনের জন্য যথাসময়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিএমইটির ডেটাবেজে নিবন্ধন ব্যতীত কোনো কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন না। এছাড়া জেনে বুঝে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ যেতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে হবে এবং অবশ্যই মানি রিসিপ্ট সংরক্ষণের নির্দেশনা দেয়া হয়।
মালয়েশিয়াসহ বিদেশ গমনসংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শের জন্য নিকটস্থ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস বা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।