কুমিল্লায় র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের ২৭ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর ইনচার্জ মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
র্যাব সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানার বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি, মিশুক, ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে বলপূর্বক টাকা আদায় করে আসছে। এসব পরিবহন চাঁদাবাজরা সরকার নির্ধারিত স্ট্যান্ড ব্যতীত অননুমোদিত স্থান হতে এবং উপজেলা কর্তৃক ইজাড়াকৃত জায়গায় নির্ধারিত টাকার পরিমানের চাইতে বেশী টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিবহন চালকরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসব চাঁদাবাজরা চালকদেরকে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে আঘাত করে চাঁদা আদায় করে যা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বর্তমান সময়ে এসব চাঁদাবাজদের এহেন কর্মকান্ডে সাধারন জনগণ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হ”েছ।
র্যাব-১১,সিপিসি-২, কুমিল্লা ক্যাম্পে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপজেলা এবং থানা হতে ভ‚ক্তভোগীগণ এ ব্যাপারে মৌখিক এবং লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা একটি ছায়া তদন্ত করে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে পরিবহন চাঁদাবাজদের এহেন কর্মকান্ডের সত্যতা পায়। পরে কুমিল্লা র্যাব ১১ সিপিটি টু ১৯ ডিসেম্ববর কুমিল্লা কোতয়ালী, বুড়িচং, বরুড়া, দেবিদ্ধার, লাকসাম, মুরাদ নগর, বি পাড়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের স্বক্রিয় সদস্যকে ৩২৫টি টাকা আদায়ের রশিদ ও
নগদ ৮৫১৫০.০০/- টাকাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলোঃ ১। তোফাজ্জল
হোসেন(৩২), পিতা-মোরশেদ@রজ্জব আলী, সাং-বি পাড়া (পূর্ব পাড়া), থানা-বি পাড়া, জেলা-কুমিল্লার, ২। কাজি মোঃ আল মামুন(২৮), পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বি পাড়া (পশ্চিম পাড়া), থানা-বি পাড়া, জেলা-কুমিল্লার, ৩। মোঃ টিপু সুলতান(২৮), পিতা-মঈন উদ্দিন, সাং-নায়ঘর (নোয়া পাড়া), থানা-বি পাড়া, জেলা-কুমিল্লার, ৪। আসাদুল(২২), পিতা-মৃত সিদ্দিকুর রহমান, সাং-বারেরা, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা ৫। মোঃ মবিন(২১), পিতা-শফিকুল ইসলাম, সাং-ভাঙ্গুরী, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা, ৬। মোঃ মফিজুল ইসলাম(২৮), পিতা-মৃত জহর আলী, সাং-গুনাইঘর, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা, ৭। মোঃ ইব্রাহিম খলিল(২৫), পিতা-মৃত আব্দুল লতিফ, সাং-গুনাইঘর, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা ৮। মোঃ আরমান(১৯), পিতা-মোঃ নাছির উদ্দিন, সাং-ঝিনাইয়া, থানা-দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা, ৯। মোঃ ইব্রাহিম হোসেন(৩০), পিতা-আব্দুল জব্বার, সাং-চেঙ্গগাটা (দক্ষিন পাড়া), থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা, ১০। মোঃ শহিদুল হোসেন@সাদ্দাম হোসেন(২৭), পিতা-দেলোয়ার হোসেন, ১১। শাহজাহান(৪৪), পিতা-মৃত নূরুল হক, সাং-বরুড়া (পাঠান পাড়া), বরুড়া পৌরসভা ওয়ার্ড নং-০৩, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা, ১২। মোঃ সোহেল হোসেন(৩২), পিতা-আব্দুল মালেক, বরুড়া পৌরসভা ওয়ার্ড নং-০৩, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা ১৩। মোঃ মহিনউদ্দিন(৩২), পিতা-মৃত আব্দুল হাকিম, উভয় সাং-বরুড়া, বরুড়া পৌরসভা ওয়ার্ড নং-০৩, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা, ১৪। আবুল কালাম আজাদ(৩২), পিতা-হাবিবুর রহমান, সাং-গোবিন্দপুর (পশ্চিম পাড়া), থানা-কোতয়ালী,জেলা-কুমিল্লা, ১৫। মোঃ সবুজ(১৯), পিতা-মিন্টু মিয়া, সাং-গোবিন্দপুর (পশ্চিম পাড়া), থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা, ১৬। মোঃ রাকিব হোসেন(২৩), পিতা-মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাং-বারেরশ্বর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ১৭। মোঃ মুমুনুর রশিদ(৩২), পিতা-মোঃ হারুনুর রশিদ, সাং-গাজিপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ১৮। মোঃ ওহিদ মিয়া(৫০), পিতা-জুলহাস মিয়া, সাং-ভবানীপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ১৯। মোঃ রুবেল(৩২), পিতা-মোঃ গফুর মিয়া, সাং-বুড়িচং, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ২০। মোঃ জালাল হোসেন(৩১), পিতা-মোঃ বা”ছু মিয়া, সাং-বুড়িচং, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ২১। মোঃ নূর উদ্দিন(৩২), পিতা-জমশিদ, সাং-বুড়িচং, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ২২। মোঃ শফিকুল ইসলাম @রুবেল(২৫), পিতা-মৃত সরমান আলী, সাং-বুড়িচং, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ২৩। মোঃ জাহিদ(২৬), পিতা-মোঃ ইউনুছ মিয়া, সাং-জগৎপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ২৪। মোঃ মোস্তফা(৩২), পিতা-মোঃ
আবুল কালাম, সাং-পয়াত, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, ২৫। মোঃ শরীফ(৩১), পিতা-মোঃ হাসেম মিয়া, সাং-
তিলালপুর, থানা-মুরাদ নগর, জেলা-কুমিল্লা, ২৬। মোঃ ফারুক(২৮), পিতা-আবদুল রশিদ, সাং-উত্তর ত্রিশা, থানা-মুরাদ নগর, জেলা-কুমিল্লা, ২৭। মেঃ শাহ আলম(২৬), পিতা-মৃত সুজা মিয়া, সাং-উত্তর ত্রিশা, থানা-মুরাদ নগর, জেলা-কুমিল্লা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উপরে উল্লেখিত অভিযোগ সমূহের দায় স্বীকার করেছে। উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থ্ গ্রহণ করা হয়েছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।