পূর্বপুরুষদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
জয় লেখেন, তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, কিন্তু এটি আমাদের দায়বদ্ধতাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি, পদ্মা সেতুর মতো একটি অনন্যসাধারণ প্রকৌশলী নির্মাণশৈলী উপহার দিয়েছি জাতিকে। এসব কারণে ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে সমথ্র্য হয়েছি আমরা। এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য, ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।
তিনি বলেন, এই ৫০-এ, আমি আমার সমবয়সী প্রিয় বাংলাদেশের মতো নিজের সুবর্ণজয়ন্তীও উদযাপন করছি। কারণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার জন্ম হয়, আমার নাম রাখা হয়েছিল জয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই যুদ্ধে চূড়ান্ত জয়লাভের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এবং আমার জীবনের পথযাত্রা সমান ও সমান্তরাল, এই ভালোবাসার বন্ধন অবিচ্ছেদ্য।
প্রধানমন্ত্রীর সন্তান ও উপদেষ্টা মনে করেন, স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছি যেখান থেকে আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। এখনই সময় নিজেদের বিকশিত করার মাধ্যমে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। দেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সন্মান জানাতে পারি। যাদের মহান আত্মদানের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদিত হয়েছে স্বাধীনতার সূর্য। আমাদের সেই পূর্বপুরুষদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করার উপযুক্ত সময় এখনই।
তিনি বলেন, ভুলে গেলে চলবে না- আমরা একটি ফুলের জন্য যুদ্ধ করেছি, একটি মুখের হাসির জন্য যুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীরা যাতে এই ফুলকে নষ্ট করতে না পারে, কারও মুখের হাসি কেড়ে নিতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। আসুন, সবাই মিলে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি। বিশ্বের বুকে মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করি। ভিশন ২০৪১ আপনাদের জন্যই। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা! জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। সুত্র:জানি