লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম খান আজাদের (৪০) ওপর এক দিনে তিনবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল উদ্দিনের কর্মীদের দায়ী করেছেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা আমিনুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে। এতে তাঁর বাঁ হাত মারাত্মক জখম হয়। একই দিন বিকেলে ও সন্ধ্যায় দত্তপাড়া বাজারে গণসংযোগ চলার সময় আমিনুলের ওপর হামলা চালানো হয়।
আমিনুল ইসলাম সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। আনারস প্রতীকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নসহ ১৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রার্থী হওয়ার পর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারপরও নির্বাচনী মাঠে থাকায় অতর্কিত আমার গণসংযোগে হামলা করা হয়। নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা এ হামলা করেছেন।’
আমিনুল ইসলাম আরও জানান, গত মঙ্গলবার চতুর্থ ধাপে দত্তপাড়া ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরদিন বুধবার গণসংযোগে নামেন তিনি। দত্তপাড়া বাজারে গণসংযোগ চলার সময় নৌকার কর্মীরা তাঁকে বাধা দেন। ওই দিনই তিনবার তাঁর ওপর হামলা ও মারধর করা হয়
তবে নৌকার প্রার্থী এ টি এম কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমিনুলকে কে বা কারা মারধর করেছে, তা আমার জানা নেই। আমার কোনো কর্মী এ হামলার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি মিথ্যাচার করছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।