কুমিল্লা মহানগরীর প্যানেল মেয়র ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহার হত্যাকান্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি পিস্তল উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধার হওয়া পিস্তল ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাখাওয়াত হোসেন ওরফে জুয়েল (৪৮) নামের এক সন্ত্রাসীর হেফাজত থেকে উদ্ধার পুর্বক গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৩০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এলআইসি টিমের এসআই পরিমল চন্দ্রদাস পিপিএমের নেতৃত্বে কন্সেবল ইসমাইল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি টিম কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার জুয়েল ওই গ্রামের মো. দোলোয়ার হোসেন মজুমদারের ছেলে।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রেসব্রিফিংয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধারকৃত পিস্তল ২টি গত ২২ নভেম্বর কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি শাহআলমের (২৯) ব্যবহৃত অস্ত্র। শাহ আলম ২৩ নভেম্বর রাতে জুয়েলের নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামের বাড়িতে যান। ওই রাতেই শাহ আলম কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল ও গুলি জুয়েলকে নিরাপদে রাখতে বলেন। জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল পুলিশকে আরও জানিয়েছে, শাহ আলম ও জুয়েল একসময় কুমিল্লা কারাগারে বন্দী ছিলেন। ওই সময়ে কারাগারে একসাথে এক ওয়ার্ডে থাকায় তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট বন্ধুত্বের সুবাধে সম্পর্ক হয়। ২৩ নভেম্বর রাতে অস্ত্র দুটি জুয়েলের হেফাজতে রেখে পরের দিন অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর সকালে শাহ আলম তাদের বাড়ি থেকে অজ্ঞাতনামা স্থানে চলে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তানভীর আহমেদ আরও জানান, জুয়েলের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ২ দুইটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও পলাতক আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার, জেলা ডিবির ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়া, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম,