প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক ‘বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২১’ উদ্বোধন করেছেন। যা সারা বিশ্বের নীতি নির্ধারক, ব্যবসায়ী নেতা এবং বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করছে।
এই কভিড-১৯ মহামারিতে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রদর্শন করাও এই শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অব ফেমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনটি পিপিপি মডেলের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। যা একটি উন্নত অর্থনীতির জন্য একটি সংবাদ নীতি প্রনয়ন ও প্রদর্শনে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত সুবিধা।
তিনি আশা প্রকাশ করেন ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১’ সারা বিশ্বের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োাগকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম হবে।
সপ্তাহব্যাপী এই বিনিয়োগ সম্মেলনে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা ও সম্ভাবনার ওপর ভিত্তিতে বিশেষ করে অবকাঠামো (ভৌত অবকাঠোমো, লজিস্টিক্স ও জ্বালানি), আইটি/আইটিইএস ও ফিনটেক, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোটিভ ও হালকা প্রকৌশল, প্ল্যাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট ও বস্ত্র এবং এফএমসিজি (ফাস্ট মুভিং ভোগ্যপণ্য) এবং খুচরা ব্যবসাসহ নয়টি খাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশসহ পাঁচটি মহাদেশের ৩৮টি দেশের ৫৫২টি কোম্পানি ৪৫০টি বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) ম্যাচ মেকিং সেশনে অংশগ্রহণ করবে। যা বাংলাদেশে নতুন ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ করতে এবং এফডিআই আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে।-বাসস