কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (২৪ অক্টোবর) পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান নাগরিক খবরকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনো আদেশের কপি হাতে আসেনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, এ মামলায় এখন পর্যন্ত প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন ঘটনার দিন সকালে পুলিশকে ৯৯৯-এ ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানির শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ২২ অক্টোবর দুপুরে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে আনা হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল কোরআন রাখার কথা স্বীকার করে।
জানা গেছে, কুমিল্লা মহানগরের নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৩ অক্টোবর মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কোতয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও কোরআন অবমাননার অপরাধে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।