কিছু কিছু মাহফিলে আমরা দেখি ৩০ ভাগ তাফসির আর ৭০ ভাগই রাজনৈতিক আলোচনা চলে। তাফসিরের নামে মাহফিলে রাজনৈতিক আলোচনা কেন আসবে !
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পুরান ঢাকার শ্যামপুরের রেজভিয়া দরবার শরিফ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, সবার প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। কিন্তু প্রতিবাদের নামে তারা কী করছে? মাহফিলে রাজনৈতিক আলোচনা করে।
তিনি বলেন, এদেশে ইসলামের জন্য শেখ হাসিনার অবদান মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। বহুবছর ধরে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কোনো স্বীকৃতি নেই। শেখ হাসিনা তাদের স্বীকৃতি দিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা চালু করলেন। মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের যে মিনার সেটিও শেখ হাসিনাই করলেন। এসবই কি ইসলামের পক্ষে করলেন নাকি বিপক্ষে?
আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, যারা কথা বলে তাদের ভূমিকা আমরা ৭১ ও ৭৫ এ দেখেছি। ধর্ষণ, মানুষ হত্যা, লুটসহ নানা অপকর্ম আমরা দেখেছি। যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিচার করা কি অন্যায়? কোরআনেই তো বিচারের কথা বলা হয়েছে।
এসময় সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে শাজাহান খান বলেন, ইসলামে সন্ত্রাস কোথাও নেই। কিন্তু ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস করলো, মন্দিরে হামলা হলো- এটা কি প্রতিবাদ নাকি যারা এগুলো করেছে তাদের ধরার জন্য ও বিচার করার জন্য প্রতিবাদ করা দরকার।
শেখ হাসিনার সফলতার বিষয়ে তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছেন, উন্নয়ন করছেন। তার উদ্দেশ্য সফল। তার কাজে রহমত ছিল। যারা ধর্ষণ ও খুন করেছে, এসব যদি পাপ হয় তবে তাদের উদ্দেশ্য কি সফল হবে?
সভায় উপস্থিত ছিলেন রেজভিয়া দরবার শরিফ ঢাকা মহানগরের সভাপতি রেজভী মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, জাতীয় সুন্নি ফেডারেশনের আহ্বায়ক মাওলানা জাকির হোসাইন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মুহাম্মদ রবিউল রেজা সিদ্দিকী, রেল শ্রমিক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বাবুল, মাওলানা নজরুল ইসলাম রেজভী, মাওলানা আব্দুর রহিম আব্বাসীসহ অনেকে।