কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানায় চাকুরীর সুবাধে আলী আজ্জম প্রকাশ পাগলা কাকুর সাথে দীর্ঘ পরিচয়। পাগল এই মানুষটি আমাকে স্বার্থহীন ভাবে ভালবাসতেন । আমিও সহজ সরল চঞ্চল মানুষটিকে ভালবাসতাম। আমার প্রতি তার ভালবাসার গতি ছিল অসীম। আমাকে কিছু সময়ের জন্য না দেখলে তাকে পীড়া দিত। তিনি প্রতিনিয়ত দরজার কড়া নেড়ে আমার সকালের ঘুম ভাঙ্গাতেন।অন্তপ্রান পাগল মানুষটির কাছে থেকে শিখেছি তার মেয়ের প্রতি অবিচল ভালবাসা।
চলতি মাসের ১০ অক্টোবর রোববার সন্ধা থেকে রাত ২ ঘটিকা পর্যন্ত আমার সাথে অফিসে, থানার সামনের রাস্তায় ও রুমে পৌঁছানো পর্যন্ত দীর্ঘ সময় কাটালাম । এর মাঝে রাত ১২:১৫ মিনিটের সময় কাকু নিয়ে খাবার খেয়েছি। আমাকে রুমে দিয়ে বিদায় নিলেন কাকু। কে জানে আজকেই তার এই ধরনীতে শেষ রাত ? কে জানে ইহাই তাহার পৃথিবী নামক গ্রহে শেষ বিচরন ও খাবার । রাত শেষে ভোর বেলায় মোবাইল ফোনের আওয়াজে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। মোবাইলে আসা কল রিসিভ করেই অপর প্রান্ত থেকে পাগলা কাকুর ছেলে শাহিন ও তার ভাতিজা দুলালের কান্না জড়িত কন্ঠে শুনতে পাই কাকু পানিতে ডুবে গেছে পাওয়া যাচ্ছেনা । অবশেষে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পাওয়া গেল কাকুর নিথর দেহ।
নিজেকে বুঝাতে পারিনি? ধরে রাখতে পারিনি হৃদয়ের মর্মস্পী আর্তনাদ? কাকু আপনি আর আমাকে ডাকবেন না ? আপনি যে চলে গিয়েছেন আপনার সঠিক ঠিকানায়। আমি আসছি সময় হয়তো দূরে নয়? পরাপরে সাক্ষাতের সুযোগ থাকলে দেখা হবে কাকু। ভাল থাকবেন পরাপারে। মহান আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক দোয়া করি। আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন কাকু। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে জান্নাতবাসি করুক, আমিন।
সংগৃহিত: এসআই খাদেমুল বাহার সদর দক্ষিণ মডেল থানা কুমিল্লা।