আ.লীগ নারী ও কন্যা-শিশুবান্ধব সরকার। কন্যাশিশুর শিক্ষা ও প্রযুক্তি জ্ঞানসহ তাদের যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করা গেলে, তারাও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের সব কন্যাশিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, নারীর ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন, তাদের প্রতি নির্যাতন বন্ধ, নারী ও শিশু পাচাররোধ, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বিধান এবং আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডের মূল ধারায় নারীর পূর্ণ ও সম অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ নারী ও কন্যাশিশুদের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, কন্যাশিশুদের কল্যাণে আমরা স্নাতক পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার প্রচলন, উপবৃত্তি প্রবর্তন, বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারী শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার জাতীয় শিশুনীতি-২০১১, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০২১ প্রণয়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন-২০২০ এ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বাল্যবিয়ে ও যৌতুক প্রতিরোধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ ও যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। আমরা ১ দশমিক ৪০ কোটি কন্যা শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছি। বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার, মেয়েদের উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের মেয়েরা সফলতা অর্জন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে আমাদের কন্যাশিশুরা তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠলে তারা আরও এগিয়ে যাবে। আমাদের কন্যাশিশুরা সমগ্র বিশ্বে আগামী প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২১ এর সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।