রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ১৪ শিক্ষার্থী মাথার চুল কেটে দেওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন তদন্ত কমিটির নিকট। তাদের মধ্যে ১৩ জন সরাসরি এবং অসুস্থ থাকায় এক শিক্ষার্থী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তদন্ত কমিটিকে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক লায়লা ফেরদৌস হিমেল।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে এদিন সংশ্লিষ্ট অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থীও কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ভুক্তভোগী ১৪ জন ছাড়া সাক্ষ্য দেওয়া অন্যরা হলেন বিভাগের ১৫ শিক্ষার্থী, তিনজন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারী। এছাড়া অন্য বিভাগের আরও পাঁচজন শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। রোববার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, চলে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য পেশ করার সময় দেওয়া হলেও তিনি মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে উপস্থিত হননি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেকের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নয় এমন ৮ জন শিক্ষার্থীর কথাও আমরা শুনেছি। তারা গত তিন বছরে অভিযুক্ত শিক্ষকের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে তদন্ত কমিটির সামনে এসে বক্তব্য পেশ করতে সময় দেওয়া হয়। তবে তিনি মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে উপস্থিত হননি। তিনি একটি মেইল করে আরও কয়েকদিন সময় চেয়েছেন।
কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু অভিযুক্ত শিক্ষক উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেছেন, সেক্ষেত্রে তাকে কতটুকু সময় দেওয়া যায় সেই সিদ্ধান্ত আগে নিতে হবে। তারপর সবকিছু মিলিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল লতিফ বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপরে ভিত্তি করে প্রশাসন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যদি অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী ফোরামে সিদ্ধান্ত হবে।