ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ চাকরি চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। অবসর গ্রহণের এক বছর পর নতুন করে আবারও চাকরি করতে চান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি।
এতে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা জানান, পেট চালাতে নয়, বরং নিজেকে কর্মক্ষম রাখতে নতুন করে চাকরি শুরু করতে চান। এছাড়া তিনি রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও দেশসেবায় কাজ করে যেতে চান বলেও জানান। চাকরির জন্য ক্ষমতাবানদের দ্বারস্ত হতে চান না বলেও জানান তিনি।
এরপর দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ তাকে এসএমএস, ইমেইল ও ফোন দেন। এত এত মানুষের হৃদয়ের উষ্ণতা তার অন্তরকে আলোড়িত করেছে। যা তার জীবনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলেও মনে করেন তিনি। তার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোয় সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নতুন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মমমতায় আমি অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। গত চার দিন অসংখ্য কল, এসএমএস, ইমেইল এ মানুষের হৃদয়ের উষ্ণতা আমার অন্তর কে আলোড়িত করেছে। অশ্রু সংবরন করতে পারিনি। মানুষের এত ভালবাসার ঋন আমৃত্যু শোধ করতে পারব না।
সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমার জন্য আপনাদের অকৃত্রিম ভালবাসা আমার মত নগন্য মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আল্লাহ আমাকে সবই দিয়েছেন যা পাওয়ার কোন যোগ্যতা আমার ছিল না। মানুষের ভালোবাসা প্রাপ্তি আমার সব বেদনাকে মুছে দিয়ে আগামীর পথকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ফেসবুকে আমার নিজস্ব আইডি থেকে একটি চাকুরীর জন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে নিবেদন করেছিলাম। কোন সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করিনি এটা প্রচার করার জন্য। ভিন্নমতকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমি ৬০ বছর বয়সে কর্মক্ষম থেকে দেশের জন্য কিছু করতে চাওয়া আমার বিবেচনায় অন্যায় নয়।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, আমি আল্লাহর একজন গুনাহগার বান্দা। মর্যাদা তো পরকালে নির্ধারণ হবে। অলস বসে না থেকে কাজে ব্যস্ত থাকলে মন সজীব থাকে। আমার কোন আগ্রহ নেই ক্ষমতা বান কারো দ্বারস্থ হওয়ার। চাকুরী জীবনে হইনি।
মমেক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার কাছে পার্থিব জীবনে আর কিছু চাওয়ার নেই। আল্লাহ আমার মত গুনাহগারকে অবশ্যই নিজ দয়ায় ইহকালে ও পরকালে নাজাত দিবেন এ আশা ও শংকা নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিব একদিন। সকলের দোয়া প্রার্থী।