ফেনী শহরের নাজির রোডের সোহেল (৩৫) নামের দুবাইপ্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার পর দুই শিশুসন্তান নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে চৌধুরী সুলতানা ভবনের ষষ্ঠ তলার বাসা থেকে প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার একদিন পরও গ্রেফতার হয়নি ঘাতক শিউলি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১০ বছর আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সোহেলের সঙ্গে একই উপজেলার শিউলীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এক মাস আগে দুবাই থেকে তিন মাসের ছুটিতে দেশে আসেন সোহেল। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে সোহেলকে কুপিয়ে হত্যার পর দুই সন্তান রিহান (৭) ও জান্নাতকে (৪) নিয়ে পালিয়ে যান শিউলি। গভীর রাতে বের হওয়ার সময় বাসার দারোয়ানকে বলে জানান, তার বাবা মারা গেছেন সেখানে যাচ্ছেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রবাসীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।এছাড়াও শিউলিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের কারণে প্রবাসীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গৃহবধূর মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসা করা গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
নাজির রোড়ের এক বাসিন্দা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, গৃহবধুকে প্রায় সময় একটি ছেলের সাথে বাসায় আসা যাওয়া করতেন, মনে পরকিয়া প্রেমিকের কথায় স্বামীকে হত্যা করতে পারে ।