আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। করোনা পরিস্থিতি নতুন করে বৃদ্ধি না পেলে ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজ খোলা হতে পারে।এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন পরীক্ষার প্রবেশপত্র তৈরির কাজ শুরু করা হবে জানা গেছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় যোগ্যদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে পরীক্ষার প্রবেশপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেয়া ও তার ফলাফল প্রকাশ কাজ বাকি রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেও লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই আমরা এ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। আগামী মাসের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এজন্য বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ নতুনভাবে শুরু করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে সেই মাসে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থাতেও নিয়োগ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। বাকিগুলো শুন্যপদে নিয়োগ দেয়া হবে। এই নিয়োগে ১৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জামা হয়েছে।সুত্র:জানি