আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানিয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২২০টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ২০ কোটি ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০১। এর মধ্যে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৮ কোটি ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ১৫৪। মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৩১ হাজার ৭৭২ জনের।
আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৩। এর মধ্যে চার লাখ ২৬ হাজার ৭৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি ৬৬ হাজার ৫৮৭। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশে শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪। এর মধ্যে ২১ হাজার ৯০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৩৭৪। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’
মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের বক্তব্য। লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে।
হংকংয়ে জন্ম নেওয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তার দাবি, চীন হত্যা করতে চেয়েছিল বলে ভয়ে মার্কিন মুলুকে পালিয়ে যান তিনি।