চর্মরোগ/ দাউদ/ চুলকানি
● আমার বয়স ২২। ৮ বছর বয়স থেকেই আমার চুলকানির সমস্যা ছিল। তখন প্রতি শীতে কয়েকটা জায়গায় চুলকাত। তবে ২ বছর ধরে বছরের পুরোটা সময় হাতে ও ঊরুতে চুলকায়। মলম প্রতিদিন ব্যবহার করি। মলম বন্ধ করলেই চুলকানি বেড়ে যায়। স্থায়ী সমাধান আছে কী?
পরামর্শ : দীর্ঘদিনের চুলকানি, বিশেষ করে শীতে ডার্মাটাইটিসের কারণে হতে পারে। আবার বারবার ছত্রাক সংক্রমণ হচ্ছে কি না, তা–ও দেখা দরকার। না বুঝে এভাবে দিনের পর দিন মলম ব্যবহার করা যাবে না। চুলকানির কারণ জানার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ দরকার। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করতে হবে। থাইরয়েড, সোরিয়াসিস বা অন্য কোনো রোগ আছে কি না, দেখতে হবে। আপনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। করোনাকালে অনেকের সঙ্গে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে আক্রান্ত স্থান দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আফজালুল করিম
সিনিয়র কনসালটেন্ট, চর্মরোগ বিভাগহলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
● আমার বয়স ৫০ বছর। ১০–১৫ বছর আগে ডান পায়ের নখগুলো বাদামি আকার ধারণ করতে থাকে। তারপর নখগুলো মোটা হতে থাকে। এখন কালো ও মোটা হয়ে গেছে। বুড়ো আঙুলের নখের নিচে ফাঁকা থাকে। এ জন্য কী করতে পারি? জাকির, ময়মনসিংহ।
পরামর্শ: নখে দীর্ঘমেয়াদি ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে এমন হয়। পায়ে ও নখে বেশি পানি লাগানো যাবে না, ভেজা রাখা যাবে না। পানি লাগানোর পর (যেমন গোসল বা ওজুর পর) দ্রুত মুছে ফেলতে হবে। এই সব রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। ক্লোট্রিমক্সাজল লোশন লাগাতে হবে। দরকার হলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল মুখে খাওয়ার ওষুধও অনেক দিন খেতে হতে পারে। তবে এসব ওষুধ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা যাবে না। কেননা, এগুলো কিডনি–যকৃতের অবস্থা দেখে দিতে হয়। নখ সব সময় শুষ্ক রাখবেন আর ধৈর্য ধরে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যান।
পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান খান
বিভাগীয় প্রধান, চর্ম বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
স্নায়ুরোগ
● আমার বয়স ১৩। প্রায় ছয়-সাত মাস ধরে আমার অনেক মাথাব্যথা। রাতে ঘুমাতে পারি না। ঠিকমতো পড়তে পারি না। ডাক্তার দেখিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। এখন আমি কী করব?
অনুরাগ দেবনাথ, বরিশাল।
পরামর্শ: এই বয়সে মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হলো মাইগ্রেন, দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা, সাইনাসের সমস্যা ইত্যাদি। মাথার ঠিক কোন জায়গায় ব্যথা, বমি হয় কি না, শব্দ এবং আলোয় সংবেদনশীলতা, সকালে ঘুম থেকে উঠলে ব্যথা আছে কি না, চোখে দেখতে অসুবিধা হয় কি না—এ তথ্যগুলো জানা জরুরি। তবে তোমার লক্ষণ শুনে অধিক দুশ্চিন্তাজনিত কারণে মাথাব্যথা বলেই মনে হচ্ছে। দুশ্চিন্তা কম করা, নিয়মিত ঘুমানো, যন্ত্র যেমন মোবাইল ফোন কম ব্যবহার করা প্রয়োজন। বেশি মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটামল খেতে পার।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. মো রাশেদুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক, নিউরোলজি বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা।