করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে বাংলাদেশ বিনামূল্যে পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব এম এ মান্নান। সোমবার (২০ জুলাই) কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পরামর্শ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি নিয়ম আছে, যেসব দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলারের নিচে, তারা ভ্যাকসিন ফ্রিতে পাবে। সেই হিসেবে আমরা ফ্রিতে পাবো। আমরা চেষ্টা করবো, বাংলাদেশ যেন আগে পায়।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। স্বাস্থ্যখাতে যে ইমেজ সংকট হচ্ছে, এটা দূর করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এম এ মান্নান বলেন, গত এক মাসে রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে একজন নতুন পরিচালক এসেছেন। তার ভূমিকার কারণে গত এক মাসে এ খাতে ১২৪ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
এদিকে, প্রথম চীনের একটি ভ্যাকসিনকে বাংলাদেশে ফেজ থ্রি ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআরবি’কে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ বিএমআরসি। আইসিডিডিআরবি’র অনুমোদনের জন্য আবেদন করার পর দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল দেয়া হচ্ছে সেটি চূড়ান্ত সফল হলে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য চীন সফলভাবে কোনো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে যাবতীয় সহযোগিতা ও সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে দেশটি। এমনটাই জানিয়েছেন চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান।
গত ২১ জুন ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান জানান, বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।