চীন থেকে koronaভাইরাসের সিনোভ্যাক টিকা আনার চুক্তি প্রায় শেষপর্যায়ে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান।
ভারতের koronaভাইরাসের টিকা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের korona টিকা নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল সেটার বাইরে ভারতের কাছ থেকে উপহার হিসেবে ১৫ লাখ চাইলেও তাদের রাজি করানো যায়নি।
অক্সফোর্ডের টিকা পেতে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল সেটার সর্বশেষ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনার জন্য যে চিঠি দিয়েছিলাম সে বিষয়ে এখনো জবাব পাইনি।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যেন শিগগিরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার koronaভাইরাসের টিকা পায় এ জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ড. মোমেন অনুরোধ করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার koronaভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজের চাহিদাসহ বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে অবগত আছেন।
ড. মোমেন বলেন, ভারত যেহেতু সময় মতো টিকা দিতে পারেনি, সে জন্য বাংলাদেশকে অতি শিগগিরই টিকা প্রদানের জন্য তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করতে পারেন বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন।এদিকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চীনের সিনোফার্ম থেকে korona ভ্যাকসিন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার (১৯ মে) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগতভাবে চীনের সিনোফার্ম থেকে korona ভ্যাকসিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, koronaকালে জরুরি কেনাকাটায় প্রস্তুতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘাটতি রয়েছে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার (১৮ মে) স্বাস্থ্যমন্ত্রী jahid malik জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর এবার দেশে আসছে ফাইজারের kororan টিকা। আগামী ২ জুন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় ফাইজারের অন্তত এক লাখ ৬ হাজার ডোজ koronar টিকা বাংলাদেশে আসছে।গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী shekh hasina বাংলাদেশে korona টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়। ৮ এপ্রিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।