নড়াইলের তরুণ সাদাত উদ্ভাবন করেছে ‘সাইবার টিনস’ নামে একটি অ্যাপ। এই এক উদ্যোগেই সাড়া পড়ে যায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে । সাদাতের উদ্ভাবনকৃত এই অ্যাপের কল্যাণেই বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার অর্জন করে সাদাত।
আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত নড়াইলের কিশোর সাদাত রহমান এখন বড় পরিসরে কাজ করতে চায় সাইবার অপরাধ নিয়ে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের রঙিন জগতে কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিত করতে সহযোগিতা চায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীসহ সবার।
বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সফলতার পেছনের গল্প বলে সাহাদাত। সফলতার এই পথে তাকে উৎসাহ যোগানো সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআই’র প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানায় দেশের মুখ উজ্জ্বল করা এই সাইবার যোদ্ধা।
সাইবার জগতে কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ বিচরণ বা জ্ঞানের দুনিয়ায় উঁকি দেয়ার সুযোগ ফিকে হয়ে আসে কিছু অপরাধীর দুষ্কর্মে। ইন্টারনেট মাধ্যমে ফেক অ্যাকাউন্ট বা নানাভাবে অল্প বয়সী বা নারীদের উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি দিন দিন যখন অসহনীয় পর্যায়ে যাচ্ছে, তখন এই সমস্যার সমাধানে নড়াইলের তরুণ সাদাত উদ্ভাবন করেছে ‘সাইবার টিনস’ নামে একটি অ্যাপ। ব্যাস, এই এক উদ্যোগেই সাড়া পড়ে যায় চারদিকে।
তার উদ্ভাবিত এই অ্যাপ এখন শুধু নড়াইল নয়। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে আলো ছড়াচ্ছে বিশ্ব পরিমণ্ডলে। গেল ১৩ নভেম্বর এই অ্যাপের কল্যাণেই বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার জোটে সাদাতের ঝুলিতে। দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে আনা সাদাতের দাবি, সবাই এগিয়ে এলে পাল্টে দেয়া সম্ভব সামাজিক বাস্তবতা।
সাদাত রহমান বলেন, একটা ভিকটিম যখন আমাদের ‘সাইবার টিনস’ এ অভিযোগ করবে তখন আমরা কিশোর কিশোরীদের গুরুত্ব কেন দেব, কারণ তারা হচ্ছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। এটা নিয়ে যাদের ভাবার কথা তারা যদি সবাই মিলে ভাবে তাহলে কিশোর কিশোরীরা ডিজিটাল সার্ভিসগুলো সচেতনভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান সিআরআই’র যুব সম্প্রদায়ের জন্য তৈরি ইয়ং বাংলা প্ল্যাটফর্মে ২০১৮ সালে বিজয়ী হয়েছিলেন এই সাদাত। সেই অনুপ্রেরণায় এতটা পথ তিনি মাড়িয়ে এলেন, জানালেন অকপটে। বললেন, সিআরআই’র উদ্যোগ খুব বড় এটা ব্যাপার। (অসমাপ্ত)
এ জাতীয় আরো খবর..