ঈদের আগে আর্থিক সংকটের কথা বলে আবারও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেয়ার জন্য ঋণ চান তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গতবারের মতো একই শর্তে এপ্রিল, মে ও জুন-এই তিন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেয়ার জন্য ঋণ চেয়েছেন তারা। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এবং বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন রোববার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চিঠি দিয়ে ঋণ দেয়ার অনুরোধ করেছেন। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বিশ্বের অনেক দেশই আগের মতো লকডাউনে রয়েছে। ফলে যেসব ক্রেতা অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারাও এখন অপারগতা প্রকাশ করছে। এমন অবস্থায় ঈদের আগে সচল কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস প্রদানের জন্য মালিকদের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিকের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধে অর্থের জোগান দেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পকে সহায়তা করার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেয়ার জন্য আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ দেয়া প্রয়োজন।
বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বর্তমানে পোশাক রপ্তানির অর্থ সময়মতো দিচ্ছে না অনেক ক্রেতা। তারা ৬০-১৮০ দিন পর্যন্ত সময় চাইছে। এ ছাড়া অনেক ক্রেতাকে মূল্যছাড়ও দিতে হচ্ছে। আবার ঈদের আগে বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস দিতে অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন হয়। সে কারণেই আমরা সরকারের কাছে ঋণ চেয়েছি। এর আগে করোনার কারণে গত মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। তখন পোশাকশিল্পের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রপ্তানিমুখী শ্রমিকদের এপ্রিল, মে ও জুন-তিন মাসের মজুরি দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই ঋণের বিপরীতে সেবা মাশুল ছিল ২ শতাংশ।
পরে পোশাকশিল্পের মালিকেরা আরো এক মাসের মজুরি দেয়ার জন্য ঋণ দেয়ার দাবি করেন। সরকারও মেনে নেয়। তখন তহবিলের আকার বেড়ে ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা দাঁড়ায়। তবে চতুর্থ মাসের জন্য ঋণের মালিকদের সুদ দিতে হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার।